বৃহস্পতিতে ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। জানা গিয়েছে, দুই ক্ষেত্রেই নিয়মের কড়াকড়ি চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এর জেরে ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের বাজার ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা কর হচ্ছে।
1/5 আরবিআই-এর নয়া নিয়ম অনুযায়ী, পার্সোনাল লোন এবং ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে উচ্চ হারে মূলধন রাখতেই হবে। এই কঠোর নিয়মগুলি এই ধরনের ঋণগুলিকে ব্যয়বহুল করে তুলবে। এর জেরে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সম্ভবত এই বিভাগগুলির বৃদ্ধির হারে ধাক্কা লাগবে। গত বছরে সামগ্রিক ব্যাঙ্কগুলির ক্রেডিট বৃদ্ধি হারকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের ব্যবসা।
2/5 রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলির (এনবিএফসি) জন্য ঝুঁকির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতিটি ঋণের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে যে মূলধন আলাদা করতে হবে, খুচরো ঋণের ক্ষেত্রে তা ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে গাড়ি কেনার ঋণ, শিক্ষা ঋণ, গৃহ ঋণ, সোনা বন্ধক রেখে ঋণ এই নিয়মের অন্তর্গত হবে না।
3/5 আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অতিরিক্ত মূলধন সরিয়ে রাখার খরচ যদি গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপানো হয়, তাহলে ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ব্যয়বহুল হয়ে যাবে গ্রাহকদের জন্য। এদিকে ব্যাঙ্ক যদি গ্রাহকদের ওপর এই বোঝা না চাপায়, তাহলে তাদের লাভের অংশ কমে যাবে। এই পরিস্থিতিতে এই খাতে ব্যবসা কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
4/5 এর আগে গতমাসেই আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন, দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা কিছু ঋণের খাতের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। জানা যায়, ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়ার হিড়িক বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তাই এই খাতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া নিয়ম আনার চিন্তা ভাবনা চালানো হচ্ছিল।
5/5 তথ্য বলছে, অরক্ষিত ঋণের পরিবাম গতবছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় এবছর বেড়েছে ২৩ শতাংশ। এদিকে ক্রেডিট কার্ডের বকেয়ার পরিমাণ বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ৫০ হাজার টাকার কম পরিমাণের ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে মেয়াদের ৯০ দিন পরও তা শোধ না করার কেস ৫.৪ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে আরবিআই চাইছে, এই সব ক্ষেত্রে 'বাফার' তৈরি থাকুক ব্যাঙ্কগুলির কাছে।