এই রাজ্যের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন নিয়ে জারি হল নয়া নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকার ফলে সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে সরকারি শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ বেতনের ৪০ শতাংশ রাজ্য দেবে। বাকি ৬০ শতাংশ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
1/4 বিহারে বিপুল সংখ্যক পঞ্চায়েত শিক্ষককে রাজ্য সরকারি কর্মী হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এই আবহে শিক্ষকদের বেতন নিয়ে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। এমনকী সময়মতো বেতন না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও শিক্ষকেরই বেতন আটকে থাকার ঘটনা ঘটেনি। এদিকে আইএএস আধিকারিক কেকে পাঠক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর সব শিক্ষকই নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।
2/4 কেকে পাঠক শিক্ষা বিভাগে আসার পর থেকেই শিক্ষকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা ছিল, সততার সাথে কাজ করুন। বাকিটা সরকার দেখে নেবে। এছাড়া অনেক সরকারি অনুষ্ঠানেই তিনি শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে কাউকেই বেতন নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। সকল শিক্ষককে যথাসময়ে বেতন দেওয়া হবে। সরকার ও শিক্ষা বিভাগ এ ব্যাপারে আন্তরিক।
3/4 বিহারে সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত শিক্ষকদের বেতন পরিশোধের জন্য তহবিল সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উভয় সরকারই। ৬০ এবং ৪০ শতাংশ অনুপাতে এই বরাদ্দ করে কেন্দ্র ও রাজ্য। এই বেতন দেওয়া হয় পঞ্চায়েতি রাজ এবং পৌর সংস্থাগুলির অধীনে কর্মরত শিক্ষক, আপগ্রেডেড মিডল স্কুলের জেলা ক্যাডারের স্নাতক প্রশিক্ষিত বেতন স্কেল শিক্ষক, এবং প্রধান শিক্ষকের পদে কর্মরত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৮ জনকে।
4/4 বিহার শিক্ষা দফতরের তরফে জারি করা চিঠিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, বেতনের অর্থ প্রদানে কোনও অনিয়মের খবর পাওয়া গেলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার বিহার শিক্ষা প্রকল্প কাউন্সিল, আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রোগ্রাম অফিসার এবং জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর বর্তাবে। কেকে পাঠকের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে যে এই বেতনের জন্য বরাদ্দ পরিমাণ অন্য কোনও খাতে ব্যবহার করা যাবে না।