কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে একচেটিয়া ভাবে আধিপত্য বজায় রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে এখনই যদি লোকসভা নির্বাচন হয়, তাহলে কি বাংলায় 'ক্লিনসুইপ' করবে তৃণমূল। ইন্ডিয়া টুডে-সি ভোটারের যৌথ সমীক্ষা অবশ্য বলছে অন্য কথা।
1/6 ইন্ডিয়া টুডে-সি ভোটারের যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে যদি এখনই লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে বিরোধীরা ২৪টি আসনে জিততে পারে। এদিকে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১৮টি আসন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও বাংলা থেকে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিলন পদ্মের প্রার্থীরা। এদিকে সমীক্ষায় 'জোট'-এর আসন সংখ্যা ২৪ বলা হলেও বাংলায় আদৌ তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে লড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তো আছেই।
2/6 এদিকে সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনই যদি দেশে লোকসভা নির্বাচন হত, তাহলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ঝুলিতে যেত ৩০৬টি আসন। অর্থাৎ, খুব সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার গণ্ডি পার করবে গেরুয়া শিবির। এদিকে সমীক্ষা অনুযায়ী, কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের ঝুলিতে আসতে পারে মাত্র ১৯৩টি আসন। এদিকে এই দুই জোটের বাইরে থাকা দলগুলি মিলিয়ে জিততে পারে ৪৪ আসন।
4/6 ২০২০ সালের জানুয়ারির জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, বিরোধীরা ১০৮টি আসনে জিতত। এরপর ২০২০ সালের অগস্টের জনমত সমীক্ষায় গ্রাফ নেমেছিল বিরোধীদের। সেই সময় ভোট হলে বিরোধীরা পেত ৯৩টি আসন। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেও বিরোধীরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর থেকে ধীরে ঘীরে গ্রাফ চড়তে শুরু করে বিরোধীদের।
5/6 জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ সালের অগস্ট মাসে ভোট হলে বিরোধীরা জিতত ১০৫টি আসনে। এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ভোট হলে বিরোধীরা পেতেন ১২৭টি আসন। এরপর ২০২২ সালের অগস্টে ভোট হলে বিরোধীরা পেত ১২৫টি আসন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ভোট হলে বিরোধীরা পেত ১৫৩ আসন। আর এখন ভোট হলে ২০০ আসনের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে বিরোধীরা।
6/6 এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভায় এনডিএ পেয়েছিল ৩৫২টি আসন। তবে এরপর থেকে জনমত সমীক্ষায় সেই সংখ্যা আর ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে মোটের ওপর ৩০০-র আশেপাশেই থেকেছে এনডিএ-র সংখ্যা। এর মধ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভোট হলে ৩২১টি আসনে জিতত গেরুয়া শিবির। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত যতগুলি জনমত সমীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে সেটাই ছিল বিজেপির সর্বোচ্চ সম্ভাব্য আসন প্রাপ্তি।