পুরীর শ্রীমন্দির পরিক্রমা প্রজেক্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সেরাজ্যের শাসক দল বিজু জনতা দল। এই প্রজেক্ট সেরাজ্যের শাসকদলের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
1/4 পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের জন্য খরচ হওয়া ৯৪৩ কোটি টাকার শ্রীমন্দির পরিক্রমা প্রজেক্ট ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জনসাধারণের জন্য উদ্ঘাটিত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট ছাড়াও এপ্রিলে রয়েছে ওড়িশার বিধানসভা ভোট। আর সেই ভোট যুদ্ধের আগে এই প্রজেক্টের আওতায় পুরী হেরিটেজ করিডর সামনে আসতে চলেছে।
2/4 উল্লেখ্য, পুরীর শ্রীমন্দির পরিক্রমা প্রজেক্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সেরাজ্যের শাসক দল বিজু জনতা দল। এই প্রজেক্ট সেরাজ্যের শাসকদলের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে, পুরীর রাজা গজপতি দিব্য সিংহ দেব জানিয়েছেন, ‘পরিক্রমা প্রকল্পটি প্রায় শেষের পথে এবং এটি ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ এ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সেই দিন একটি পূজা ও হোমও অনুষ্ঠিত হবে। ’
3/4 এদিকে, জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য আধিকারিক ১৭ জানুয়ারির ওই মন্দিরের উদ্বোধনের ঘটনা খুব বড় মাপের করে করা হবে। সেখানে ভারত ও বিদেশ থেকেও বহু দর্শনার্থী আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলছেন, ‘বহু বছর আগে যাঁরা পুরীতে বেড়াতে এসেছেন, তাঁরা দেখতে পাবেন কতটা পাল্টেছে এলাকা।’ উল্লেখ্য, এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন হতে দেরি হয়েছিল কোভিডের কারণে। এরপর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে মন্দির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছিল যে এই পদক্ষেপে হেরিটেজের ক্ষতি হচ্ছে। খননের আগে কোনও দিক বিচার করে তা খনন হয়নি। পরে ন্যাশনাল মনুমেন্ট অথরিটির অনুমোদনের পর কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে তা সমাপ্তির পথে।
4/4 ওড়িশার রাজ্য সরকারি অফিসাররা বলছেন, প্রতিদিন পুরীতে ৪০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখা ও পরিচ্ছন্ন দেখতে লাগারও প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁদের মত। সেই জায়গা থেকে এই প্রজেক্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, পুরীর পরিকাঠামো ঠিক করতে রাজ্য সরকার আরও ৩৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে বলে জানা গিয়েছে।