ভারত জুড়ে পরিবহণ ব্যবস্থাকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে 'গতিশক্তি' প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পের অধীনেই রেল লাইনের ওপর দিয়ে ফ্লাইওভার বা ব্রিজ এবং রেল লাইনের নীচে দিয়ে আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এই দুই ক্ষেত্রে গতিশক্তি প্রকল্পের কাজে গতি নেই।
1/4 গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনে রেল লাইনের ওপরে ওভারব্রিজ এবং রেল লাইনর নীচে দিয়ে যাওয়া আন্ডারপাসের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে না। এই আবহে এই দুই ক্ষেত্রে নতুন করে আর কোনও কাজ বরাদ্দ করা হবে না বলে জানিয়েছে রেল বোর্ড। এমনকী যে যে জায়গায় এই কাজগুলো বর্তমানে হচ্ছে, সেগুলির ওপর কড়া নজরদারি চালানোর কথা বলেছে রেল বোর্ড।
2/4 রেল মন্ত্রকের তরফে গতিশক্তি ডিরেক্টোরেট গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের তদারকির জন্যে আলাদা আলাদা ডিভিশন রয়েছে তাতে। সব মিলিয়ে মোট ৬৮টি ডিভিশন মিলে কাজ করছে। বিভিন্ন মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এই ডিরেক্টোরেটের কাজ। রেল লাইনের ওপর দিয়ে ব্রিজ বা নীচে দিয়ে আন্ডারপাস নিয়ে পরিকল্পনা করাও গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনেই পড়ে।
3/4 এই আবহে গত সপ্তাহে রেল বোর্ডের তরফ থেকে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল। তাতে বলা হয়, যাতে লাল ফিতের বাধা কাটিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ জলদি সম্পন্ন করা যায়, তার জন্যেই গতিশক্তি ডিরেক্টোরেটের বিভিন্ন ডিভিশন গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে দেখা যাচ্ছে, গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনে রেল লাইনের ওপরে ওভারব্রিজ এবং রেল লাইনর নীচে দিয়ে যাওয়া আন্ডারপাসের কাজ অসন্তোষজনক।
4/4 চিঠিতে লেখা হয়েছে, রেল লাইনের ওপরে ওভারব্রিজ এবং রেল লাইনর নীচে দিয়ে যাওয়া আন্ডারপাসের জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করার কথা, সেই কাজ খুব ধীর গতিতে চলছে। এই আবহে এই ক্ষেত্রে নতুন কোনও প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রেল বোর্ডের তরফে। এদিকে বর্তমানে রোড ওভার ব্রিজের যে প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলি রেলের বা রাজ্য সরকারের হাতে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।