Rajasthan Royals in IPL Final: আজ ফাইনালে প্রথমবার আইপিএল খেলতে নামা গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হতে চলেছে প্রথম দফার বিজয়ী দল রাজস্থান রয়্যালস। চলতি আইপিএল-এর লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াইতে মানসিক ভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে গুজরাট। একেই ঘরের মাঠে খেলা, তার উপর কোয়ালিফায়ার ১-এ এই রাজস্থানকে হারিয়েই ফাইনালে ওঠে গুজরাট। তাই সেই জয়ের স্বাদ এখনও টাটকা। এই আবহে রাজস্থানকে আজকের ম্যাচ জিততে হলে যে তিনটি বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে, তা হল:
1/3 জস বাটলারের ফর্ম: রাজস্থানের ব্যাটিং জস বাটলারের উপর খুব বেশি নির্ভর করে থাকে। তবে কোয়ালিফায়ার ১-এ জস বাটলারের ৮৯ রানের ইনিংসও রাজস্থানকে জেতাতে পারেনি। জস বাটলারের দুর্দান্ত ফর্ম রাজস্থানের জন্য যেমন ‘ভালো’, তেমনই ‘খারাপ’। বাটলারের ধারাবাহিকতার কারণে রাজস্থানের মিডল অর্ডার সেভাবে পরীক্ষার মুখে পড়েনি। এই কারণে বাটলার কোনওদিন ফেল করলে সেটা রাজস্থানের কাছে বড় চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে খাড়া করে দেয়। এদিকে বাটলার ‘সেট’ হতে কিছুটা সময় নেন। যদি সেই সময় নেওয়ার পর বাটলার বড় স্কোর করতে না পারেন, তাহলে তা রাজস্থানের জন্য বড় ধাক্কা। এর প্রমাণ মেলে লিগ পর্বের শেষের দিকে। সেই সময় বাটলার কিছুটা ফর্ম হারিয়েছিলেন। এবং এর জেরে রাজস্থান লিগের শেষ ৬ ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে। তাই গুজরাট জানে বাটলারকে আউট করা মানে আর্ধেক ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুড়ে নেওয়া।
2/3 সঞ্জু স্যামসনের ধারাবাহিকতার অভাব: চলতি আইপিএল-এ ১৬ ম্যাচে ১৪৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ৪৪৪ রান করেছেন সঞ্জু স্যামসন। চলতি মরশুমে শীর্ষ রান সংগ্রহকদের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন সঞ্জু। তবে তা সত্ত্বেও তাঁর ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চলতি মরশুমে ৪০০ বেশি রান করলেও মাত্র দুটি অর্ধশতরান রয়েছে সঞ্জুর ব্যাগে। অর্থাৎ, তিনি শুরুটা ভালোই করছেন, কিন্তু ইনিংসের মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলছেন বা উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসছেন। এই ধারাবাহিকতার অভাবের জেরেই ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি সঞ্জু স্যামসন। তবে তাঁর দলকে আজকে যদি ফাইনালে জিততে হয় তাহলে তাঁকে ক্রিজে টিকে থাকতে হবে।
3/3 বল হাতে অশ্বিন ও বোল্টের ধারাবাহিকতার অভাব: ব্যাট হাতে যেমন সঞ্জু স্যামসন এবছর ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি, তেমনই রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্ট এবছর বল হাতে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। মাঝে মাঝে দুর্দান্ত বল করলেও মোটের উপর আইপিএল জুড়ে তাঁরা ধারাবাহিক ছিলেন না। অনেক ক্ষেত্রেই এর দাম দিতে হয়েছে দলকে। এবছর ১৬ ম্যাচে মাত্র ১২ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। ১৫ ম্যাচ খেলে বোল্ট পেয়েছেন ১৫টি উইকেট। বিশ্বমানের এই বোলারদের থেকে এই পারফর্ম্যান্স আশা করা যায় না। অনেক সময়ই হয়েছে, যখন এই দুই বোলারকে খলতেই পারছেন না ব্যাটাররা। আবার অনেক সময় হয়েছে, যখন এই দুই বোলারকে অনায়াসে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন ব্যাটাররা। তবে ফাইনাল জিততে হলে যুজবেন্দ্র চাহালকে যোগ্য সংঙ্গত দিতে হবে অশ্বিন ও বোল্টকে।