আম জনতার টাকা সুরক্ষিত রাখতে এবং অনলাইন জালিয়াতি রুখতে গতবছরই টোকেনাইজেশন পদ্ধতি চালু করেছিল আরবিআই। এর ফলে ইকমার্স সাইট বা কোও পোর্টালে নিয়মিত লেনদেনের জন্য কার্ডের তথ্য দিতে হয় না আর। বদলে একটি টোকেন জেনারেট করেই সে কাজ করা যায়। আর এবার ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই এই টোকেন জেনারেট করা যাবে।
1/5 গতবছর থেকে দেশে টোকেনাইজেনশন পদ্ধতির মাধ্যমে কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন লেনদেন শুরু হয়েছে। আম জনতার টাকা সুরক্ষিত রাখতে এবং অনলাইন জালিয়াতি রুখতে গতবছরই টোকেনাইজেশন পদ্ধতি চালু করেছিল আরবিআই। এর ফলে ইকমার্স সাইট বা কোও পোর্টালে নিয়মিত লেনদেনের জন্য বারবার কার্ডের তথ্য আর দিতে হয় না। বদলে একটি টোকেন জেনারেট করেই সে কাজ করা যায়। তবে বর্তমানে শুধুমাত্র মার্চেন্ট পেজ থেকেই টোকেন জেনারেট করা যায়। তবে ভবিষ্যতে সরাসরি ব্যঙ্কের মাধ্যমে এই কাজ করা যাবে।
2/5 গতকাল মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, ভবিষ্যতে সরাসরি ব্যঙ্কের মাধ্যমেই কার্ডের টোকেন জেনারেট করে লেনদেন করা যাবে। এতে করে অনলাইন লেনদেন আরও বেশি সুরক্ষিত হবে। আরবিআই প্রধান বলেন, 'নয়া নিয়ম চালু হলে ব্যাঙ্ক নিজের অ্যকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করেই টোকেন জেনারেট করা যাবে। এতে গ্রাহকরা সুবিধা পাবেন।'
3/5 এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনওভাবেই গ্রাহকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে পারবে না ব্যাঙ্ক ও কোনও ইকমার্স সংস্থা বা অ্যাপ। লেনদেনের পর সংস্থার অ্যাপ থেকে এইসব ডেটা মুছে দিতে হবে। আরবিআই জানায়, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের লেনদেনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে 'এনক্রিপটেড টোকেন'-এর ব্যবস্থা করতে হবে তাদের। এই মর্মে গতবছর থেকেই এই নিয়ম চালু হয়।
4/5 উল্লেখ্য, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আগে যদি কোনও গ্রাহক আর্থিক লেনদেন করতে চাইতেন, তাহলে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য (টোকেন জেনারেট না করলে এখনও তাই করতে হয়) দিতে হত - ১৬ সংখ্যার কার্ড নম্বর, কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ, সিভিভি। এরপর অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বর বা ইমেলে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড আসত। এরপর ট্রানজাকশন পিন দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে হত। আগে কোনও অ্যাপে যদি আপনি কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করতেন, তাহলে এই সব তথ্য সেখানে জমা থাকত। তবে টোকেন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আর এই সব তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে পারে না অ্যাপগুলি।
5/5 এখন কোনও অ্যাপে আপনি কার্ডে লেনদেন করলে সেই অ্যাপ আপনার থেকে 'টোকেনাইজেশন'-এর অনুমতি চাইবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার কার্ডকে টোকেনে রূপান্তরিত করা হবে। অর্থাৎ, আপনার কার্ডের তথ্যের বিনিময়ে আপনাকে গোপন কোড দেওয়া হবে। আর আপনার কার্ডের যাবতীয় তথ্য এরপর মুছে দেবে সেই অ্যাপ। বর্তমানে আলাদা অ্যাপে কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বার বার টোকেন জেনারেট করতে হয়। তবে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টোকেন জেনারেট করা গেলে এই প্রক্রিয়া আরও সরল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।