হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে অভিযোগ ছিল, নিজেদের শেয়ার ঘুর পথে কেনে দাম নির্ধারণ করত আদানিরা। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। তবে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল তদন্ত। আর সেই তদন্ত চলাকালীনই এবার সামনে এল 'অর্গানাইজন ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট'-এর চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।
1/6 'অর্গানাইজন ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট' তাদের এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করল, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছিল মরিশাসের অস্বচ্ছ একটি ফান্ড থেকে। সেই ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল আদানি পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী অংশীদাররাই। এর আগে হিন্ডেনবার্গও এই ধরনেরই অভিযোগ করেছিল আদানিদের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল আদানি।
2/6 একাধির কর সংক্রান্ত নথি এবং আদানি গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ইমেল সামনে রেখেই এই অস্বচ্ছ লেনদেন নিয়ে বড় দাবি করল 'অর্গানাইজন ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট'। উল্লেখ্য, ওসিসিআরপি হল অলাভজনক মিডিয়া সংস্থা। তাদের অভিযোগ, অন্তত দু'টি ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে অস্বচ্ছ ভাবে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কেনাবেচা করা হয়েছে।
3/6 এদিকে 'অর্গানাইজন ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট'-এর প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছে আদানি গোষ্ঠী। তাদের তরফে বলা হয়েছে, ওসিসিআরপি-র রিপোর্টে মরিশাসের যে ফান্ডের কথা বলা হচ্ছে, সেটা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেও ছিল। এবং এই গোটা অভিযোগই ভিত্তিহীন। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট থেকেই তুলে এনে তা প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। আদানি গোষ্ঠীর দাবি, তাদের সব সংস্থাই সব ধরনের আইন মেনে চলছে।
4/6 প্রসঙ্গত, আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পরই তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল দেশের বাণিজ্য মহলে। ধস নেমেছিল আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আদানির শেয়ার ও ধন সম্পত্তির পরিমাণের গ্রাফ জানুয়ারি থেকে নিম্নমুখী হতে শুরু করেছিল। রিপোর্ট প্রকাশের পর ৪ মাসে আদানি গ্রুপের চেয়ারপারসন ৬০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছেন।
5/6 এদিকে এই পরিস্থিতিতে আদানিদের মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। সেই কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টও জমা পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, 'এখনও পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারের দাম হেরফের করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট কোনও পার্টির মাধ্যমে একাধিকবার ভুয়ো ট্রেডিং বা ওয়াশ ট্রেডের কোনও প্যাটার্ন পাওয়া যায়নি। ব্যবসায় জালিয়াতিরও কোনও সুসংগত প্যাটার্ন প্রকাশ্যে আসেনি।'
6/6 এর আগে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিদেশে বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। এভাবে বাজারে ভুয়ো চাহিদা সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম চড়ানো হত। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছে আদানি গোষ্ঠী। এদিকে মোট ১১টি দেশের তদন্তকারী সংস্থার থেকে আদানি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল সেবি।