লোকসভা ভোটের আগে হাত শিবিরের মাথায় হাত। দিল্লি হাই কোর্ট খারিজ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেসের আয়কর সংক্রান্ত আবেদন। আর এর মধ্যেই কংগ্রেসকে ১৭০০ কোটি টাকার নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর। নির্বাচনের প্রাক্কালে আয়কর দফতরের এই নোটিশে আরও চাপে পড়বে কংগ্রেস।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য কংগ্রেসকে জরিমানা এবং সুদ-সহ কংগ্রেসকে ১৭০০ কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছে আয়কর দফতরের তরফ থেকে। এদিকে ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ বছরগুলির জন্য কংগ্রেসের আয়কর পুনর্মূল্যায়ন চলছে।
2/5 উল্লেখ্য, এর আগে আদালতে আয়কর সংক্রান্ত মামলায় ধাক্কা খেয়েছিল কংগ্রেস। আদালতে হাত শিবিরের বক্তব্য ছিল, আয়কর বিভাগ আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই আইন প্রয়োগ করছে। এমনকী অনুমতি ছাড়াই কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে টাকা সরানো হয়েছে। কংগ্রেস চাইছিল, যতদিন আদালতে মামলা চলবে ততদিন যেন তাঁদের বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগ কোনও পদক্ষেপ না করতে পারে। কিন্তু হাই কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।
3/5 এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের চারটি মূল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর দফতর। সেই সময় বকেয়া কর হিসাবে কংগ্রেসকে ১০৫ কোটি টাকা দেওয়ার নোটিস দিয়েছিল আয়কর দফতর। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, তাদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে 'অগণতান্ত্রিকভাবে' ৬৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে আয়কর দফতর।
4/5 সেইসময় কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন দাবি করেছিলেন যে আয়কর দফতরের সেই পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুতের বিল, কর্মীদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে সামনেই লোকসভা ভোট আছে। ওই চারটি মূল অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার ফলে ভোটের প্রচারে খরচ করা যাচ্ছে না। সেই মামলায় আদালতে গড়ায়। এবং এখনও কংগ্রেস স্বস্তি পায়নি। এরই মধ্যে এবার নতুন বাজ ভেঙে পড়ল কংগ্রেসের মাথায়।
5/5 এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে ইচ্ছে করে আয়কর দফতরকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। হাত শিবিরের দাবি, দলের কাছে নির্বাচনে লড়াই করার টাকা নেই এমনিতে। কংগ্রেসের কাছে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বা লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের টাকা দেওয়ার বা নেতাদের ভ্রমণের জন্যে টাকা নেই।