বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > হেরেই চলেছে ইংল্যান্ড, এবার নিজেদের ODI ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের, ২২৯ রানে রেকর্ড জয় প্রোটিয়াদের
হেরেই চলেছে ইংল্যান্ড, এবার নিজেদের ODI ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের, ২২৯ রানে রেকর্ড জয় প্রোটিয়াদের Updated: 21 Oct 2023, 09:37 PM IST Tania Roy South Africa vs England: আফগানিস্তানের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হারল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাটে-বলে- সব বিভাগেই ল্যাজেগোবরে গাল ইংল্যান্ডের। শনিবার প্রোটিয়াদের কাছে ২২৯ রানে হেরে লজ্জার নজির গড়েছে বাটলার, রুট, বেন স্টোকসরা। 1/10 চলতি বিশ্বকাপে একেবারে ল্যাজেগোবরে হচ্ছে ইংল্যান্ড। এই নিয়ে চার ম্যাচের মধ্যে তারা তিনটিতেই হেরে বসে থাকল। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের পর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হারতে হল জস বাটলারদের। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আবার লজ্জাজনক ভাবে হারে ব্রিটিশরা। তারা তাদের ওডিআই-এর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখে পড়ল। ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হল ইংল্যান্ডকে। এদিকে প্রোটিয়ারা পেল রেকর্ড জয়। 2/10 এই ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড ২০২২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২২১ রানে হেরেছিল। সেটাই ছিল ব্রিটিশদের ওডিআই ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের নজির। এদিন সেই নজির পিছনে ফেললেন বাটলাররা। 3/10 এদিকে প্রোটিয়ারা বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানে জয় পেল। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৫৭ রানে জয় পেয়েছিল। ২০১১ সালে আবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ২৩১ রানে জয় পেয়েছিল। এদিন পেল ২২৯ রানে জয়। এছাড়া ২০০৭ বিশ্বকাপেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেই ২২১ রানে ম্যাচ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১১ বিশ্বকাপে আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০৬ রানে জিতেছিল তারা। 4/10 মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। অসুস্থ থাকায় এই ম্যাচে খেলেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। নেতৃত্ব দেন এডেন মার্করাম। বাভুমার বদলে কুইন্টন ডি’ককের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রিজা হেন্ডরিক্স। প্রথম ওভারেই আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার ছন্দে থাকা ওপেনার ডি’কক (২ বলে ৪ রান)। তার পরে দ্বিতীয় উইকেটে হেন্ডরিক্সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন। দু’জন মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। 5/10 দ্বিতীয় উইকেটে হয় ১২১ রান। অর্ধশতরান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার। ভ্যান ডার দাসেন ৮টি চারের হাত ধরে ৬১ বলে ৬০ রান করে আউট হন। তার পরে হেন্ডরিক্সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মার্করাম। হেন্ডরিক্স ৩টি ছক্কা এবং ৯টি চারের হাত ধরে ৭৫ বলে ৮৫ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। মার্করামও ভালো খেলছিলেন। তবে ৪৪ বলে ৪২ করে তিনি আউট হন। রান পাননি ডেভিড মিলার (৫)। 6/10 পর পর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন এনরিখ ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। শুধু টেনে তোলা নয়, দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন তাঁরা। ইংল্যান্ডের পেসারদের বেধড়ক পিটিয়েছেন দুই ব্যাটার। ৪০ ওভারের পর থেকেই প্রতি ওভারে বড় রান নিচ্ছিলেন তাঁরা। ক্লাসেনের পায়ে ক্র্যাম্প ধরায় বেশি দৌড়তে পারছিলেন না তিনি। ফলে বড় শট খেলার দিকে মন দেন। মাত্র ৬১ বলে শতরান করেন তিনি। শেষ ওভারে ৬৭ বলে ১০৯ করে আউট হন ক্লাসেন। হাঁকান ১২টি চার এবং চারটি ছয়। 7/10 জানসেনও যোগ্য সঙ্গত করে গিয়েছেন ক্লাসেনকে। ৩টি চার এবং ৬টি ছয়ের সৌজন্যে ৪২ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জানসেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাহাড় প্রমাণ ৩৯৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের হয়ে রিস টপলি ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন এবং আদিল রশিদ। 8/10 ৪০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের বিরুদ্ধে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। জনি বেয়ারস্টো (১০), ডেভিড মালান (৬), জো রুট (২) রান পাননি। এই ম্যাচে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বেন স্টোকস। বল করেননি। আর ব্যাট হাতেও করলেন মাত্র ৫ রান। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। 9/10 প্রথম সারির ব্যাটারদের পতনের পরে নিরাশ করেন ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক (১৭) এবং অধিনায়ক বাটলারও (১৫)। কিন্তু এই ম্যাচে তাঁরাও ব্যর্থ। একই ওভারে তাঁদের ফেরান জেরাল্ড কোয়েটজি। ৬৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। সেখানেই খেলা শেষ হয়ে যায় ব্রিটিশদের। 10/10 নীচের দিকের ব্যাটাররা কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। তবে পাহাড় প্রমাণ রানের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের চেষ্টাটা নিতান্তই ক্ষুদ্র ছিল। মার্ক উড (১৭ বলে ৪৩) ও গাস অ্যাটকিনসন (২১ বলে ৩৫) না থাকলে আরও বড় লজ্জার সামনে পড়ত ইংল্যান্ড। অর্ধশতরানের জুটি বাঁধেন তাঁরা। ফলে হারের ব্যবধান কিছুটা কমে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রান করে ইংল্যান্ড। চোট থাকায় নামেননি রিস টপলে। ২২৯ রানে হারে ইংল্যান্ড। প্রোটিয়াদের হয়ে কোয়েটজি তিন উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি এনগিডি এবং মার্কো জানসেন। রাবাডা আর কেশব মহারাজা নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।