1/5 শনিবার দুপুরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল সন্দেশখালির উত্তম সর্দারকে। এরপর শনির বেলা গড়াতেই রাতে সন্দেশখালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার উত্তম সর্দার। গত কয়েক দিনে সন্দেশখালিতে আগুন জ্বলতে দেখেছে বাংলা। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তমের বিরুদ্ধে ছিল এলাকাবাসীদের অভিযোগ। এরপর শনিবার রাতেই উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সন্দেশখালি এলাকায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে উত্তমের। এদিকে, শনিবার দুপুরে তৃণমূলের ধরণা মঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক ঘোষণা করেন যে, আগামী ৬ বছরের জন্য উত্তম সর্দারকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল। তিনি জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার উত্তম সর্দার।
3/5 এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরারা এলাকায় অত্যাচার চালান। তাঁদের গ্রেফতারির দাবি তুলে সরব হন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ ঘিরে দিনে দিনে উত্তপ্ত হতে থাকে সন্দেশখালি। এদিকে, উত্তমকে গত বুধবার রাতে শেষবার দেখা গিয়েছিল এলাকায়। তাকে ধরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাকে থানায় নিয়ে যায়। তারপর থেকে উত্তমকে দেখা যায়নি বলে খবর। এরপর তিনি শনিবার হয় তার গ্রেফতারি।
5/5 এর আগে, উত্তম ও শিবু হাজারর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। সন্দেশখালির বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাস্তায় নামেন। সরব হন থানার সামনে। মহিলারা হাতে তুলে নেন ঝাঁটা, লাঠি। আগুন ধরানো হয় পোলট্রি ফার্ম, বাগানবাড়িতে। অভিযোগ ছিল, গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করে ওই বাগানবাড়ি বানিয়েছেন উত্তমরা। উল্লেখ্য, এই উত্তম ও শিবুরা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের নেতা যে শাহজাহান শেখকে খুঁজতে সন্দেশখালি পৌঁছেছিল ইডি। পরে সেই ইডি অফিসারদের ওপর চলে মারধর। এরপর থেকে নিখোঁজ শাহজাহান। আর শাহজাহান যখন বেপাত্তা, তখন এলাকাবাসী তার ঘনিষ্ঠ শিবু ও উত্তমদের বিরুদ্ধে সরব হন।