ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে? কিন্তু সময়মতো টাকা পরিশোধ না করার ছক কষেছে? এরকম গ্রহীতাদের জন্য চকোলেট পন্থা নিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)। যে গ্রহীতারা ঋণের টাকা পরিশোধ না করার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
1/6 সময়মতো ঋণের টাকা ফিরে পেতে 'গান্ধীগিরি' শুরু করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)। ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, যে গ্রহীতারা সময়মতো ঋণের টাকা মিটিয়ে দেবেন না বলে অনুমান করা হচ্ছে, তাঁদের কাছে যাবেন ব্য়াঙ্কের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট গ্রহীতার হাতে চকোলেট তুলে দেবেন তাঁরা। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রহীতারা যাতে নির্দিষ্ট সময় মেনে ঋণ মিটিয়ে দেন, সেই বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে এসবিআই কর্তৃপক্ষ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স ও Pixabay)
2/6 এসবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, 'রিটেন লোন' গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে সেই পন্থা ব্যবহার করা হচ্ছে। যে ঋণ সাধারণত বাড়ি, গাড়ি জাতীয় কোনও সম্পত্তি কিনতে নেওয়া হয়। ব্যক্তিগত ঋণ এবং শিক্ষা ঋণও সেই শ্রেণির আওতায় আসে। আর সেই ধরনের ‘রিটেল লোন’-র সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/6 এসবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের নিরিখে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে রিটেল লোন বেড়েছে ১৬.৪৫ শতাংশ। গতবার যেটা ছিল ১০,৩৪,১১১ কোটি টাকা। এবার সেটাই দাঁড়িয়েছে ১২,০৪,২৭৯ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, এসবিআইয়ের পুরো ঋণের ক্ষেত্রে যে 'ডবল ডিজিট'-এ উত্থান হয়েছে, সেটা মূলত সম্ভব হয়েছে রিটেল লোনের কারণেই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
4/6 বিষয়টি নিয়ে এসবিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিক অশ্বিনীকুমার তিওয়ারি বলেছেন, ‘ঋণের অর্থ পরিশোধ করার যে বাধ্যবধকতা আছে, তা আমাদের গ্রহীতাদের স্মরণ করিয়ে দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স) ব্যবহারকারী দুটি ফিনটেকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে একটি উদ্ভাবনী কাজ করছি। একটি (ফিনটেক সংস্থা) গ্রহীতাদের সঙ্গে সমঝোতার করছে। অপর (ফিনটেক সংস্থা) আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছে যে কোনও গ্রহীতার ঋণ খেলাপের প্রবণতা কেমন হতে পারে।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
5/6 এসবিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিক আরও বলেছেন, ‘আর এরকম যে গ্রহীতারা ঋণখেলাপ করতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে, তাঁদের কাছে যাবেন এই ফিনটেক সংস্থার প্রতিনিধিরা। প্রত্যেকের জন্য এক প্যাকেট করে চকোলেট নিয়ে যাবেন। সেইসঙ্গে তাঁদের ইএমআই পরিশোধ করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেবেন।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
6/6 কিন্তু যে গ্রহীতার ঋণের টাকা পরিশোধ না করার পরিকল্পনা আছে, তাঁদের চকোলেট পাঠিয়ে কী লাভ হবে? এসবিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিকের বক্তব্য, অতীতের ঘটনা থেকে দেখা গিয়েছে যে যাঁরা ঋণের টাকা পরিশোধ না করার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা ব্যাঙ্কের ফোন ধরেন না। তাই একেবারে সরাসরি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে নেওয়া হবে। আর সেই ‘গান্ধীগিরি’ করে আপাতত ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)