সাতচল্লিশ আসন-বিশিষ্ট শিলিগুড়ি পুরনিগমে ৩৭ টি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির ঝুলিতে পাঁচটি আসন এসেছে। চারটি আসন পেয়েছে বামেরা। কংগ্রেসের দখলে এসেছে একটি আসন। কোন কোন কারণে বামেদের হাত থেকে কেড়ে শিলিগুড়িতে বোর্ড গঠন করতে পারল তৃণমূল -
1/4 বাম টু রাম টু তৃণমূল: গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছিল বিজেপি। তাতে ফুলেফেঁপে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর রাজ্য বিজেপির যা অবস্থা, তাতে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তাদের কার্যত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সেইসঙ্গে 'আগে রাম, পরে বাম' তত্ত্বেও ধুলোয় মিশে গিয়েছে। তবে সেই ভোটব্যাঙ্কের সামান্যই বামেদের ঘরে ফিরেছে। বরং তা ঢুকেছে তৃণমূলের বাক্সে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)
2/4 ব্যবসায়ীদের সমর্থন সরে যাওয়া: রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী মহলের সমর্থন পেয়ে এসেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। কিন্তু এবার সেই সমর্থন সরে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তাঁরা মনে করেছেন, রাজ্যে যে দল ক্ষমতায় আছে, সেই দলই যদি পুরনিগমে ক্ষমতায় থাকে, তাহলে তাঁদের পক্ষে কাজ সহজ হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)
3/4 প্রশাসক গৌতম দেবের উন্নয়ন: প্রশাসক পদে দায়িত্ব পাওয়ার কাজ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। যিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের পরীক্ষায় ‘পাশ’ করতে পারেননি। তবে মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকেছেন। প্রশাসক পদে নর্দমা পরিষ্কার, পানীয় জলের মতো দৈনন্দিন নাগরিক জীবনের বিষয় নিয়ে ভালো কাজ করেছেন। সেই কাজের ফল মিলেছে ভোটে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
4/4 অশোক ভট্টাচার্যের প্রভাব কমে যাওয়া: ‘শিলিগুড়ি মডেল’ জনপ্রিয় হলেও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরই ইঙ্গিত মিলেছিল, অশোকের জমি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। বিশেষত ভোটের মার্জিনে সেই রূঢ় বাস্তবটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ফলে একা অশোকের কাঁধে ভর করে বামেদের পক্ষে বৈতরণী পার হওয়া সম্ভব ছিল না। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)