জাল সিম কার্ড এবং আর্থিক জালিয়াতির সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য সিম কার্ডের আবেদন জানানোর জন্য কেওয়াইসি-র নিয়মে পরিবর্তন এনেছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। এই আবহে নয়া বছরে কড়া নিয়ম কার্যকর করা হবে সিম কার্ড কেনার জন্য প্রয়োজনীয় কেওয়াইসির ক্ষেত্রে।
1/5 আজ থেকে সিম কার্ড ইস্যু করার জন্য ডিজিটাল ভেরিফায়েড ডকুমেন্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। সিম কার্ডের অপব্যবহার এবং উপভোক্তারা জাল নথি দিলে জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। অর্থাৎ, এর আগে সিম কার্ডের জন্য যে নথির প্রতিলিপি জমা দিতে হত, তা হবে না। বরং কেওয়াইসি প্রক্রিয়া পুরোপুরি ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক্সের ভিত্তিতে সিম কার্ড ইস্যু করা হবে।
2/5 সাধারণত মানুষ যেকোনও আইডিতে যে কোনও সিম কার্ড পেতেন। বর্তমানে একজন ব্যক্তিকে আইডি পিছু সর্বোচ্চ ৯টি সিম কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করা হতে পারে এই ধরনের সিম কার্ডগুলি। কিন্তু সরকারের নয়া কড়া পদক্ষেপে সিম কার্ডের অপব্যবহার থমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে সিম কার্ডের অপব্যবহার হলেও, তা কে কোথা থেকে কিনেছিল, তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সহজ হয়ে যাবে তদন্তকারীদের জন্য।
3/5 এদিকে নয়া কেওয়াইসি নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি ডুপ্লিট সিমের জন্য আবেদন করেন বা নয়া নম্বর চেয়ে আবেদন করেন, তাহলে তাঁকে নিজের এলাকার ডেমোগ্রাফিক তথ্যের বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। আধার কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করেই অবশ্য তা পাওয়া যাবে। এদিকে ডুপ্লিকেট সিমের ক্ষেত্রেও এখন পুরো কেওয়াইসি প্রক্রিয়া করা বাধ্যতামূলক। এদিকে ডুপ্লিকেট সিমে প্রথম ২৪ ঘণ্টা কোনও এসএমএস আসবে না বা যাবে না।
4/5 এদিকে কোনও মোবাইল নম্বর যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেই নম্বরটি অন্য কোনও গ্রাহককে দেওয়ার আগে অন্তত পক্ষে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। এদিকে একসঙ্গে প্রচুর সিম বিক্রি বন্ধ হয়েছে। এখন কোনও সংস্থা নিজের কর্মীদের জন্যে একসঙ্গে অনেক সিম কিনতে চাইলে নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে সিমের জন্য আবেদন করার কাজের জন্য নিয়োগ করতে হবে। এরপর টেলিকম সংস্থার সঙ্গে সেই ব্যক্তি যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও নথি প্রদান করবেন।
5/5 এদিকে নয়া নিয়মে সিম বিক্রি করা ব্যক্তিদেরও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হয়েছে। তাঁদেরও ভেরিফিকেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এদিকে যদি কোনও ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন হয়, তাহলে সিম বিক্রি করা ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এদিকে পয়েন্ট অফ সেল এজেন্টদের লিখিত চুক্তি করতে হবে। যারা পয়েন্ট অফ সেলস এজেন্ট হয়ে আছেন, তাঁদের ১২ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।