মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসির রায়ে জানিয়েছে যে, অবসরের একদিন আগেও যদি কোনও সরকারি কর্মচারী বেতনবৃদ্ধির জন্য যোগ্য হন, তাহলেও তাঁর ইনক্রিমেন্ট হবেই। সরকার সেই বেতনবৃদ্ধি আটকাতে পারে না। প্রসঙ্গত, এর আগে কর্ণাটক হাই কোর্টও এই রায়ই দিয়েছিল। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
1/4 জানা গিয়েছে, কর্ণাটক সরকারের মালিকানাধীন কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেড শীর্ষ আদালতে মামলাটি করেছে। এর আগে কর্ণাটক হাই কোর্টও রায় দিয়ে জানিয়েছিল, অবসরের একদিন আগেও যদি কোনও সরকারি কর্মচারী বেতনবৃদ্ধির জন্য যোগ্য হন, তাহলেও তাঁর ইনক্রিমেন্ট থেকে সরকার তাঁকে বঞ্চিত করতে পারে না। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যায় কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেড।
2/4 সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেডের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয়। উল্লেখ্য, কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেডের যুক্তি ছিল, কর্মীদের আরও ভালো কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে বেতনবৃদ্ধি করা হয়। এই আবহে একবছরের মধ্যে যে কর্মী অবসর নেমে, তার বেতনবৃদ্ধির কোনও অর্থ নেই।
3/4 তবে সুপ্রিম কোর্ট বলে, গতবছরের আচরণ এবং কাজের ওপর এক কর্মীকে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। এই আবহে এক বছর পর যে কর্মীর অবসর, তিনি ইনক্রিমেন্টের জন্য যোগ্য হবেন তাঁর আগের বছরের কাজের জন্য। এই আবহে অবসরের একদিন আগেও যদি বেতনবৃদ্ধির জন্য কোনও কর্মী যোগ্য হন, তাহলে সেই বেতনবৃদ্ধি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করতে পারে না সরকার।
4/4 এর আগে কর্ণাটক হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে রাজ্য সরকারি এই সংস্থার পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। সেখানে হার হয় কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেডের। এরপর উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকারের এই সংস্থা। তবে সেখানেও বড় ধাক্কা খেতে হয় তাঁদের।