বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Taiwan on Chinese Agression in Indian Ocean: চিনের পরবর্তী নিশানা ভারত মহাসাগর, বেজিংয়ের আগ্রাসন নিয়ে বিস্ফোরক তাইওয়ান
Taiwan on Chinese Agression in Indian Ocean: চিনের পরবর্তী নিশানা ভারত মহাসাগর, বেজিংয়ের আগ্রাসন নিয়ে বিস্ফোরক তাইওয়ান Updated: 01 Sep 2023, 03:37 PM IST Abhijit Chowdhury ইতিমধ্যেই মানচিত্রের মাধ্যমে দক্ষিণ চিন সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। এদিকে সদ্য প্রকাশিত 'স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ'-এ তাইওয়ানকেও নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করেছে বেজিং। এই আবহে তাইওয়ানের সতর্কবার্তা, চিনের এই আগ্রাসী মনোভাব শেষ হওয়ার নয়। এরপর বেজিংয়ের নিশানা হবে ভারত মহাসাগর। 1/5 প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগেই লাদাখে চিনা সম্প্রসারণ নীতির সাক্ষী থেকেছে দিল্লি। তবে শুধু লাদাখেই নয়, বেজিংয়ের সম্প্রসারণ নীতির উদাহরণ দেখা গিয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরেও। এই গোটা অঞ্চলকেই নিজেদের বলে দাবি করে বেজিং। আর সম্প্রতি ভারতের খুব কাছেই একটি সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে চিন। এদিকে গত অগস্টেই ভারতের তিন বাহিনীর প্রাক্তন প্রধানরা তাইওয়ানে গিয়েছিলেন। এই আবহে তাইওয়ান যেন দিল্লিকেই সতর্ক করে দিল ভারত মহাসাগরের কথা বলে। 2/5 তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জাউশিহ জোসেফ উ বুধবার বলেন, চিনের আগ্রাসী মনোভাব তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক জীবনধারাকে হুমকির মুখে ফেলছে। পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাব দ্রুত ভারত মহাসাগরে প্রভাব ফেলবে। ভবিষ্যতের জন্য সেখানে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করবে চিন। 3/5 প্রসঙ্গত, গত অগস্টে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, কম্বোডিয়ায় একটি বিশাল সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে চিন। মালাক্কা প্রণালীর খুব কাছেই অবস্থিত চিনের এই সামরিক ঘাঁটি। যা দিল্লির জন্য মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। এই মালাক্কা প্রণালীর মাধ্যমেই ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ চিন সাগরের যোগাযোগ বজায় রয়েছে। এই আবহে কম্বোডিয়ায় চিনা সামরিক ঘাঁটি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 4/5 উল্লেখ্য, চার বছর আগেই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের এক রিপোর্টে দাবি করেছিল যে কম্বোডিয়ার সঙ্গে নৌ ঘাঁটি গড়ার জন্য একটি চুক্তি করেছে চিন। আর সম্প্রতি এসেছে সেই নৌ ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, গোট এলাকাটি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে বিগত কয়েক মাসেই। থাই উপসাগরের সিহানুকভিলের খুব কাছেই তৈরি হয়েছে এই ঘাঁটি। এর জেরে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বিতর্কিত এলাকার ওপর নিজেদের প্রভাব আরও বাড়াতে পারবে চিন। 5/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বা দেড় বছরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন প্রায় ১৫৭ হেক্টর জমি চিনের হাতে তুলে দিয়েছে সামরিক ঘাঁটি তৈরির লক্ষ্যে। সেই জমিতেই বিভিন্ন সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। একটি রাডার বসানো হয়েছে। এদিকে কম্বোডিয়ার মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, সেই অঞ্চলে চিনের তরফে স্টোরেজ ফেসিলিটি এবং হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।