উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-কে চরম ভর্ৎসনা হাই কোর্টের বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের। সিপিআইএম প্রার্থীর মনোনয়ন বিকৃতি মামলায় সাসপেন্ড করা হয়েছে এই বিডিও-কে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন বিডিও।
1/5 সিপিআইএম প্রার্থীর মনোনয়ন বিকৃতি মামলায় উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন নীলাদ্রিশেখর। তবে সেখানে স্বস্তি পাওয়ার বদলে উলটে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল।
2/5 উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি নীলাদ্রিশেখরদে-কে প্রশ্ন করেন, 'কেন এসেছেন আদালতে?' জবাবে নীলাদ্রিশেখর বলেন, 'সুবিচার পেতে'। এরপরই বিচারপতি বলেন, 'আপনি কি নিজে অন্যদের প্রতি সুবিচার করেছেন যে এখন নিজে সুবিচার চাইতে এসেছে? রাজ্য সরকারের সঙ্গে আপনিও মামলা করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিয়ে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাহলে এখন কেন সেই কমিটির সুপারিশ মানতে অস্বীকার করেছেন?'
3/5 ডিভিশন বেঞ্চ সাসপেন্ডেড বিডিও-কে বলে, 'বিডিও হিসাবে আপনার দায়িত্ব ছিল নির্বাচনকে সুচারু রূপে পরিচালনা করা। কিন্তু তা আপনি করেননি। আপনি সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছিলেন। তাতেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। সংবিধান আপনাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিল। তা আপনি পালন করতে ব্যর্থ। আপনি চাকরিতে যোগের সময় যে শপথ নিয়েছিলেন, তা রক্ষা করেননি। আপনার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোর রয়েছে।' এরপর মামলাটি ফের সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
5/5 সেই মামলার প্রেক্ষিতেই উলুবেড়িয়া ১-এর বিডিও এবং উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসককে সাসপেন্ড করা হয়। এদিকে বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনে ফের নির্বাচন করাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।