বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Govt Bans Cough Syrups: গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, গ্লেনমার্কের কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র, কাদের খাওয়ানো যাবে না?
Govt Bans Cough Syrups: গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, গ্লেনমার্কের কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র, কাদের খাওয়ানো যাবে না? Updated: 21 Dec 2023, 05:12 PM IST Abhijit Chowdhury শীতকালে প্রায় সবারই অল্প-বিস্তর ঠান্ডা, কাশি লেগেই থাকে। এর জন্যে আলাদা করে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে দোকান থেকে যেকোনও কাশির সিরাপই নিয়ে আসেন অধিকাংশ মানুষ। ভালো নাম করা সংস্থার ওষুধের ওপরে সেই ক্ষেত্রে ভরসা অনেকেরই। তবে এরই মধ্যে জনপ্রিয় বেশ কিছু সংস্থার কাশির ওষুধ নিষিদ্ধ হল। 1/5 ৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টি-কোল্ড ড্রাগের সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ করেছে সম্প্রতি। এই ধরনের ওষুধগুলির লেবেলে 'সতর্ক বার্তা' ছাপানো বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। কাশির সিরাপের কারণে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১৪১ জন শিশুর মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সরকার মেনে নিয়েছে যে দেশে তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে গোটা বিশ্বে ২০১৯ সাল থেকে ১২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ৪ জন অক্ষম হয়ে গিয়েছে। 2/5 গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে গাম্বিয়া, উজবেকিস্তান এবং ক্যামেরুনে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, ভারতে তৈরি কাফ সিরাপের জেরেই এই সব শিশুর মৃত্যু ঘটেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল। ভারতের যে সব কারখানা থেকে সেই সব ওষুধ রফতানি করা হত, তা বন্ধ করে তদন্তও চালিয়েছেল ডিসিজিআই। 3/5 এই আবহে গত ১৮ ডিসেম্বর একটি আদেশ জারি করে ডিজিসিআই। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফিক্সড-ড্রাগ কম্বিনেশনের কাফ সিরাপের লেবেল সতর্ক বার্তা দেওয়া বাধ্যতামূলক হবে ওষুধ প্রস্তুতকারকদের জন্য। লেখা থাকতে হবে - '৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।' 4/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের টি-মিনিক ওরাল ড্রপস, গ্লেনমার্কের অ্যাসকরিল ফ্লু সিরাপ, এবং আইপিসিএ ল্যাবরেটরিজ এর সলভিন কোল্ড সিরাপ প্রস্তুত করা কারখানাগুলিকে এই ওষুধগুলির ওপর বাধ্যতামূলক ভাবে সতর্ক বর্তা লাগাতে বলেছে সরকার। ক্লোরফেনিরামাইন ম্যালেট এবং ফেনাইলেফ্রাইন থাকা ওষুধগুলির ক্ষেত্রেই এই সতর্ক বার্তা ছাপতে হবে। কারণ শিশুদের জন্য এগুলি বিপজ্জনক। 5/5 এমনিতেই ৫ বছর বা তার ছোট শিশুদের জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশির সিরাপ বা ওষুধ ব্যবহার করতে বারণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অর্থাৎ, চিকিৎসকের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া এমনিতেই যে কোনও ওষুধ খাওয়ানো শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তবে এই পরামর্শ মেনে চলেন না অনেকেই। অনেকেই আবার হয়ত জানেনই না বিষয়টা।