এখনও পর্যন্ত প্রায় যতগুলি সংবাদমাধ্যম ও সংস্থা তাদের জনমত সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে প্রতিটিতেই বামেদের 'শূন্য' দেখানো হয়েছে। তবে এবার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউটের কয়েক জন অধ্যাপকের সমীক্ষায় দেখা গেল, বামেরা এবার লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে জিততে পারে ৩টি আসন।
1/5 'জনমত সমীক্ষা' নামক একটি সমীক্ষা সংস্থা তৈরি করে লোকসভা ভোটের আগে পথে নামেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউটের কয়েক জন অধ্যাপক। মানুষের মন বুঝতে ৬টি লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে বিধানসভা ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন সেই অধ্যাপকরা। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, বামেরা এবার লোকসভা ভোটে খাতা খুলতে পারে বাংলা থেকে।
2/5 অবশ্য এই সমীক্ষা করা হয়েছিল সিএএ বিধি কার্যকর করা এবং বামেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে। সেই সময় সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মানুজন দাবি করেছিলেন, এবারে লোকসভা নির্বাচনে মূল ইস্যু হতে চলেছে দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধি। বাংলায় রামমন্দির বা সাম্প্রদায়িকতা কোনও বড় ইস্যু হবে না বলেই দাবি করা হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে। তিন মাস ধরে চালানো এই সমীক্ষার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়।
3/5 এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বাংলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে কড়া লড়াই দিতে পারে বামেরা। সেই আসনগুলি হল - কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর ও হাওড়া। এবারে কলকাতা দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের সায়েরা শাহ হালিম। যাদবপুর থেকে প্রার্থী তরুণ বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। এবং হাওড়া থেকে প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
4/5 এদিকে বামেরা বাংলার যে তিনটি লোকসভা আসন থেকে জয়ী হতে পারে বলে সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, সেগুলি হল - দমদম, শ্রীরামপুর ও কৃষ্ণনগর। এবার দমদম থেকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন দীপ্সিতা ধর। কৃষ্ণনগরে সিপিএমের প্রার্থী এসএম শাদি।
5/5 উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে দমদম কেন্দ্রে ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সিপিএম। এই আসনে বিগত ৩ বার জয়ী হয়েছেন তৃণমূলেপ সৌগত রায়। এদিকে শ্রীরামপুর কেন্দ্রেও ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে গতবার তৃতীয় স্থানে ছিল সিপিএম। এই আসনে গতবার জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কৃষ্ণনগরে গতবার প্রায় ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানেই ছিল সিপিএম। এই আসনে গতবার জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র।