বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Who is Yevgeny Prigozhin: 'দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষেছিলেন পুতিন', রুশ অভ্যুত্থানের 'মাথা' ইয়েভজেনি আদতে কে?
Who is Yevgeny Prigozhin: 'দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষেছিলেন পুতিন', রুশ অভ্যুত্থানের 'মাথা' ইয়েভজেনি আদতে কে? Updated: 24 Jun 2023, 12:35 PM IST Abhijit Chowdhury Wagner Group Chief Yevgeny Prigozhin: একদা পুতিন ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এখন সেই ইয়েভজেনি প্রিগোজিন তাঁর পতনের ডাক দিয়েছেন। ইয়েভজেনির নেতৃত্বাধীন ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠী রাশিয়ায় ঢুকে রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শেরে করেছে। দক্ষিণ রাশিয়ার রস্টভ দখলের দাবি জানাচ্ছে তারা। তবে এই ইয়েভজেনি আসলে কে? 1/6 ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে ভাড়াটে সেনার প্রধান হয়ে ওঠা ইয়েভজেনি কয়েকদিন আগেও পুতিনের বেশ ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধে ইয়েভজেনির ভাড়াটে সৈনিকরা বড় ভূমিকা পালন করছে। শুধু ইউক্রেন নয়, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা যেখানেই রাশিয়া 'ছায়া যুদ্ধে' লিপ্ত, সেখানেই ওয়াগনার গোষ্ঠী পুতিনের হয়ে লড়েছে। 2/6 ৬২ বছর বয়সি ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এখন পুতিন ও তাঁর প্রশাসনের সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে খুলে আম বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ইয়েভজেনি দাবি করেন, সোভিয়েত জমানার শেষ দশ বছর তিনি জেল হাজতে ছিলেন। যদিও কী কারণে তাঁকে জেলবন্দি করা হয়েছিল, তা নিয়ে তিনি কখনও মুখ খোলেননি। 3/6 ইয়েভজেনি এবং পুতিন, দু'জনেরই জন্ম সেন্ট পিটার্সবার্গে। সোভিয়েত জমানায় এই শহরের নাম ছিল লেনিনগ্রাদ। সেখানেই প্রথমে একটি ছোট্ট হটডগের ঠেলা দিয়ে উপার্জন শুরু করেছিলেন ইয়েভজেনি। পরবর্তীতে একটি বড় রেস্তোরাঁ হয় তাঁর। ইয়েভজেনির এই রেস্তোরাঁর ওপর নজর পড়ে পুতিনের। নিজে ক্ষমতায় আসার পর সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাককে এই রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়েছিলেন পুতিন। 4/6 এরপর ২০১০ সাল নাগাদ ইয়েভজেনিকে সরকারি ঋণ পেতে সাহায্য করেন পুতিন। সেই ঋণের টাকায় ইয়েভজেনি একটি কারখানা চালু করেন। সেই কারখানা থেকে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে লাঞ্চ সরবরাহ করা হত। এদিকে সেই কারখানাকে সরকারি বরাত পাইয়ে দিতেও নাকি পুতিন সাহায্য করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র মস্কোতেই কয়েক লাখ ডলার মূল্যের বরাত পেয়েছিল ইয়েভজেনির সংস্থা। 5/6 এছাড়াও ক্রেমলিনে পুতিনের জন্য ক্যাটারিংয়ের দায়িত্বও ছিল ইয়েভজেনির সংস্থার ওপর। সেই সময় তাঁর ডাকনাম পড়েছিল - 'পুতিনের বাবুর্চি'। এরপর রুশ সেনাকে খাবার সরবরাহের বরাতও পেয়েছিলেন ইয়েভজেনি। সেই বরাত পেতে আইনও ভাঙা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৮৭ মিলিয়ন ডলারের সেই বরাত ইয়েভজেনির থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি। 6/6 রেস্তোরাঁ ও ক্যাটারিংয়ের মাঝেই ইয়েভজেনি ওয়াগনার গোষ্ঠীর মালিক হয়ে যান। এই ভাড়াটে সৈনিকদের গোষ্ঠীকে ভিনদেশে বিভিন্ন সামরিক অভিযানে কাজে লাগায় রুশ সরকার। রাশিয়ার কারাগারে বন্দি থাকা বহু অপরাধী এই ওয়াগনার গোষ্ঠীতে যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেয়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা যেখানেই রাশিয়া 'ছায়া যুদ্ধে' লিপ্ত, সেখানেই ওয়াগনার গোষ্ঠী পুতিনের হয়ে লড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন একনায়কদের সুরক্ষাও দেয় এই গোষ্ঠী। এর বদলে মোটা অঙ্কের টাকা, সোনা বা খনিজ সম্পদ নিয়ে থাকে এই গোষ্ঠী।