সাম্প্রতিককালে ভারতে তৈরি একাধিক কাশির ওষুধ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একাধিক দেশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, ভারতে তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। তবে সেসব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সরকার। যদিও এবার ভারতে তৈরি আরও একটি কাশির ওষুধ নিয়ে সতর্ক করল হু।
1/5 ভারতের ফোউর্টিস ল্যাবের তৈরি 'কোল্ড আউট' নামক কাশির ওষুধের একটি ব্যাচ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানা গিয়েছে, ইরকে এই ওষুধের ব্যাচটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ব্যাচে মাত্রারিক্ত ডাইথিলিন গ্লাইকল এবং ইথিলিন গ্লাইকল মিলেছে। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
2/5 জানা গিয়েছে, এই 'কোল্ড আউট' নামক কাশির ওষুধটি ড্যাবলাইফ ফার্মার জন্য তৈরি করে ফোউর্টিস ল্যাব। সোমবারই এই ওষুধ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে শিশুদের এই ওষুধ না খাওয়ানোর জন্য বলেছে হু। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ওষুধের সংশ্লিষ্ট ব্যাচের থেকে শিশুদের শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী এই ওষুধ খেলে শিশুদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
3/5 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কাশির ওষুধে ডাইথিলিন গ্লাইকল এবং ইথিলিন গ্লাইকলের অনুমোদিত মাত্রা হল ০.১০ শতাংশ। তবে ইরাকে 'কোল্ড আউট'-এর যে ব্যাচ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তাতে ডাইথিলিন গ্লাইকল রয়েছে ০.২৫ শতাংশ এবং ইথিলিন গ্লাইকল রয়েছে ২.১ শতাংশ। এই পদার্থ এই পরিমাণে কোনও শিশুর শরীরে প্রবেশ করলে তা থেকে সেই শিশুর শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী সেই শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
4/5 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রস্তুতকারক ল্যাব বা এই ওষুধ রফতনিকারক সংস্থার তরফে এই ওষুধ নিয়ে কোনও গ্যারান্টি দেওয়া হয়নি। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সতর্কীকরণের পর সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে ড্যাবলাইফ ফার্মা এবং ফোউর্টিস ল্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে তৈরি পাঁচটি কাশির ওষুধ নিয়ে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
5/5 এর আগে গাম্বিয়া এবং উজবেকিস্তানে নাকি ভারতে তৈরি কাশির ওষুধ খেয়েই মৃত্যু হয় ৮৯ জন শিশুর। এদিকে রাইমান ল্যাবের একটি কাশির ওষুধ খেয়েও নাকি ক্যামেরুনে বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উজবেকিস্তানে যে কাশির ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেটি তৈরি করত ম্যারিয়ন বায়োটেক। সেই সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সরকার। এদিকে গাম্বিয়ায় যে কাশির ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেটি তৈরি করে মেডেন ফার্মা। তাদের ওষুধে অবশ্য কোনও সমস্যা পায়নি সরকার।