ভারতে সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরির মধ্যে সরকারি চাকরি পাওয়ার ঝোঁক সবচেয়ে বেশি। এর একটি উদাহরণ সম্প্রতি দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল পদে ৬০ হাজার শূন্যপদের জন্য আবেদন করেছেন ৪৮ লাখ চাকরিপ্রার্থী। অর্থাৎ, এর মধ্যে থেকে মাত্র ১.২৫ শতাংশ মানুষই পাবেন এই চাকরি। তবে কেন এই উন্মাদনা?
1/5 ভারতে সরকারি চাকরি নিয়ে মানুষের 'উন্মাদনার' কারণ খুঁজে রিপোর্ট প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ৯৭.২ কোটি মানুষ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের মধ্যে। অর্থাৎ, তারা কাজ করার যোগ্য বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র ৫৮ কোটি ভারতীয় কাজ করেন। আর মাত্র ১৫ কোটি মানুষ সংগঠিত (সরকারি + বেসরকারি) ক্ষেত্রে কাজ করেন।
2/5 আইএলও-র রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মাত্র ১.৪ কোটি মানুষই সরকারি চাকরি করেন। অর্থাৎ, প্রতি ১০০টি চাকরির মধ্যে ২টি হল সরকারি। এদিকে দেশের মোট কর্মশক্তির মাত্র ১.৪ শতাংশই সরকারি চাকরি পেতে পারেন। তাও সরকারি চাকরির দিকেই ঝোঁক বেশি সবার। অনেকেই আবার বছরের পর বছর অন্য চাকরিতে যোগ না দিয়ে সরকারি চাকরির প্রস্তুতিতেই মননিবেশ করেন।
3/5 রিপোর্ট বলছে, দেশের মোট কর্মশক্তির মাত্র ৪৯.৯ শতাংশ মানুষই চাকরি করেন। বাকি প্রায় আর্ধেক মানুষ কাজ করেন না। তাও বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজ করার থেকে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্যেই মানুষ বেশি করে ঝাঁপায়। যেখানে কাজের এত 'অভাব', সেখানে কেন সরকারি চাকরির জন্য এই 'পক্ষপাতিত্ব'?
4/5 রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, শহুরে অঞ্চলে সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করার চাকরিজীবীদের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশই নিয়মিত বেতন পান। এদিকে নিয়মিত বেতন পাওয়া চাকরিজীবীদের মধ্যে থেকে মাত্র ৪৭ শতাংশ 'পেইড লিভ' পেয়ে থাকেন। এদিকে দেশের অংসগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা প্রায় ৪৩ কোটি মানুষের জন্যে পরিস্থিতি আরও করুণ।
5/5 এই আবহে দেশে সরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁকের কারণ হল নিশ্চয়তা, বেশি বেতন, সুযোগ সুবিধা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশে এন্ট্রি লেভেলে বেসরকারি চাকরিতে গড় বেতন ১০ হাজার টাকা। এদিকে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেলে বেতন ৩৩ হাজার। এর সঙ্গে যোগ হয় ডিএ, এইচআরএ সহ আরও একাধিক ভাতা। এছাড়া সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে নিশ্চয়তা থাকে, বেসরকারি ক্ষেত্রে তা কোনও ভাবেই থাকে না। তাই এখনও ভারতীয়রা বেশি ঝুঁকে সরকারি চাকরির দিকেই।