মাঠে যেমন নিজের ব্যাটিংয়ে ভর করে প্রচারের আলো কেড়ে নিতেন, মাঠের বাইরেও তেমনি নানা বিতর্কে জড়িয়ে বরাবর শিরোনামে থেকেছেন কেভিন পিটারসেন। ২০১৪ সালের অ্যাসেজের পর বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সতীর্থ অ্যান্ড্রু স্ট্রসের সঙ্গে ঝামেলাতেই তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের পরিসমাপ্তি ঘটে।
খেলা ছাড়া পর ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন পদে স্ট্রস বহাল হন। না স্ট্রস না ইসিবি, কারুর সঙ্গেই অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি পিটারসেনের। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সবচেয়ে কালো অধ্যায়ের মধ্যে একটি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মতবিরোধ ভুলে এক চ্যারিটি ম্যাচে দু জনে একসঙ্গে মাঠে নামান। তবে তাঁদের সম্পর্কে যে তিক্ততা এখনও অব্যাহত, তা স্ট্রসের এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারেই স্পষ্ট।
নিজে পুরো ব্যাপারটাকে আলাদভাবে সমলাতে পারতেন স্বীকার করলেও স্ট্রস বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয় দুই-একটা জিনিস আমি আলাদারকম করতেই পারতাম। তবে যা ঘটেছে তার জন্য যে পিটারসেনও সমানভাবে দায়ী, সেকথা অস্বীকার করার জায়গাই নেই। কিন্তু আমি যখন অতীতের স্মৃতিচারণ করি, তখন কেপির (পিটারসেনের সংক্ষিপ্ত নাম) সঙ্গে দীর্ঘ সময় খেলার বেশিরভাগটাই আনন্দদায়ক ছিল। আমার অধিনায়কত্বের বেশিরভাগ সময়টাই কেপি দুর্ধর্ষ ছিল। আমাদের সম্পর্কও ঠিকঠাক ছিল।’
পাশাপাশি পিটারসেনের সঙ্গে ঝামেলার মূল কারণহিসাবে স্ট্রস তাঁর কার্যকলাপকে দায়ী করেন। নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে আগ্রহী তারকা ব্যাটসম্যানের মনোভাব বা কাজকর্ম অনেক সময়ই বোর্ড ও দলের হিতের বিপরীতেই ছিল বলে তাঁর সঙ্গে পিটারসেনের ঝামেলা লাগে বলে দাবি করেন স্ট্রস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।