ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ বরাবরই ঘটনাবহুল, বিশেষত বিশ্বকাপ হলে তো আর কথাই নেই। সচিন তেন্ডুলকরের ২০০৩ বিশ্বকাপে শোয়েব আখতারকে পয়েন্টের ওপর দিয়ে মারা ছক্কাই হোক বা সাম্প্রতিক বিশ্বকাপে রোহিতের দুর্দান্ত শতরানই হোক সকলের মনেই তা চিরতরে জায়গা করে নিয়েছে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের আমির সোহল ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদের এমনই এক ঘটনার কথা দর্শকদের মনে এখনও তাজা।
ম্যাচের ১৫ নম্বর ওভারে প্রসাদের বলে এগিয়ে এসে চার মেরে তাঁকে বাউন্ডারি থেকে বল কুড়িয়ে নিয়ে আসার ইশারা করেন সোহেল। জবাবে ঠিক তার পরের বলেই পাকিস্তানি ওপেনারকে বোল্ড করে তাঁকে সাজঘরের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রসাদ। ওইদিন আসলে কী ঘটেছিল, তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন দর্শকরা। তবে এত বছর পর অবশেষে সেইদিন মাঠে ঠিক কী হয়েছিল তা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ওপেনার সোহেল।
ইউটিউবে ক্রিকেট লাইফ স্টোরিজ নামক এক শো তে সোহেল স্মৃতিচারণা করে জানান, ‘ওইদিন না তো কিছু বলাবলি হয়েছিল না কোনরকম ঝগড়া। লোকেরা স্রেফ নিজেদের বোদ্ধা প্রমাণ করতে নিজের মতো করে কাহিনী রচনা করেছে। জাভেদ মিয়াঁদাদের থেকে আমরা শিখেছিলাম কী করে বোলাররা ম্যাচের দখল নিচ্ছে মনে হলে তাঁদের রাগিয়ে দিয়ে ম্যাচের রাশ আবার নিজের দিকে টেনে আনতে হয়। আমার যখন মনে হয় বোলাদের হাতে ম্যাচের রাশ চলে যাচ্ছে, তখন আমি ওর (প্রসাদ) মনোসংযোগ নষ্ট করে ওকে নিজের লেংথ থেকে সরানোর চেষ্টা করি। সেই জন্যই আমি একদিকে ইঙ্গিত করি, যাতে ওর মনোসংযোগ নষ্ট হয়। লোকে সেটাকেই অনেক বেশি বাড়িয়ে চাড়িয়ে প্রকাশ করে। একটা সামান্য ইঙ্গিতকে ভুলভাবে দেখানো হয়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।