দুটি ক্ষেত্রেই চরম বিপর্যয় নেমেছে। তা সত্ত্বেও বিরাট কোহলিদের থেকে ভালো করেছে কংগ্রেস। মজার ছলে তাতেই যেন সান্ত্বনা খুঁজলেন সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা।
ঠিক কী হয়েছিল বিষয়টা? অ্যাডিলেডে তৃতীয় দিনে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারত। শুক্রবার যে ভারত কিছুটা হলেও ম্যাচে এগিয়ে ছিল, তাদের ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। একজন ব্যাটসম্যানও দুই সংখ্যার গণ্ডি পার করতে পারেননি। সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৯)। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে প্রথম সেশনও পার করতে পারেনি ভারত। প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। তারপর একে একে চেতেশ্বর পূজারা, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানেরা প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেষপর্যন্ত ন'উইকেটে ৩৬ রান তুলতে পারে ভারত। কামিন্সের বাউন্সারে হাতে চোট লেগে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান মহম্মদ শামি।
ভারতের সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর সঞ্জয় একটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘৪৪ (আসন পেয়ে) কমপক্ষে আমরা ভালো করেছি।’ কেউ কেউ বিষয়টি বুঝতে না পারলেও অনেকেই বিষয়টি ধরতে পারেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪৪ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। ২০০৯ সালের থেকে ১৬২ টি আসন কমেছিল। ভোট কমেছিল ১৯.৩ শতাংশ।
পরে অবশ্য ভারতের হারের পর সঞ্জয় জানান, মজা করেই সেই টুইট করেছিলেন। বরং এরকম ধাক্কার পরে প্রত্যাবর্তন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঘুরে দাঁড়ানো যে সোজা নয়, তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সঞ্জয়। সম্ভবত কংগ্রেসের অভিজ্ঞতা থেকেই সে কথা বলেছেন। কারণ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বাড়লেও তা ৫২-তেই আটকে গিয়েছিল। তারপর থেকে কংগ্রেসের উন্নতি তো হয়নি, উলটে রক্তক্ষরণ ক্রমশ বাড়ছে। সেই রেশ ধরেই সম্ভবত সঞ্জয় টুইট করেন, ‘মজা করছিলাম। হারে কোনও লজ্জা নেই। লড়াই করে ফেরা হল গুরুত্বপূর্ণ। আর লড়াইটা কঠিন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।