দলে নেই ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথের মতো তারকারা। তার ওপর চোটের কারণে ছিটকে যেতে হয়েছে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে শুরুর থেকেই ব্যাকফুটে ছিল অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে পরাজয়ের পাশাপাশি একাধিক লজ্জার নজির সঙ্গে নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে অজিদের।
পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১২৩ রান তাড়া করতে নেমে ৬২ রানেই থেমে যায় অজিদের ইনিংস। শাকিব আল হাসানের নজির গড়ার (প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট ও ১০০০ রান) রাতেই লজ্জার নজির গড়ে ম্যাথু ওয়েড়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। বিশ ওভারের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর।
অপরদিকে, অল্প রান ডিফেন্ড করা সত্ত্বেও ৬০ রানে ম্যাচ জয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম (রানের বিচারে) জয়। ঘটনাক্রমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন দল এর থেকে কম স্কোর কোনদিন করেনি। পাশপাশি অজিরা মাত্র ৮২ বলেই অল আউট হয়ে যায় পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। এটিই তাদের গৌরবময় ক্রিকেট ইতিহাসে ক্ষুদ্রতম (বলের বিচারে) ইনিংস।
গোটা সিরিজেই দুই দলের তরফে রানের খরা চোখে পড়ে। পঞ্চম ম্যাচে ১২৩, তৃতীয় ম্যাচে ১২৮ ও প্রথম ম্যাচে ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হন ক্যাঙ্গারুরা। তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে এত কম রান তাড়া করতে কখনও ব্যর্থ হননি তাঁরা।
গোটা সিরিজেই দুই দলের ছয় বল পিছু ৫.৮৫ রানের গড় টি-টোয়েন্টির ৯৬টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের (অন্তত ১০০ ওভার খেলা হয়েছে যে সব সিরিজে) মধ্যে সর্বনিম্ন। প্রতি উইকেট পিছু ১৪.৭৩ রান ওই ৯৬টি সিরিজের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যানগুলি দেখে সহজেই বোঝা যায় শুধুমাত্র বাংলা টাইগারদের বিরুদ্ধে প্রথম সিরিজ হার নয়, রীতিমতো পর্যদুস্ত হয়ে দেশে ফিরছেন অজিরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।