টি টোয়েন্টি ব্লাস্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ল্যাঙ্কাশায়ার মুখোমুখি হয়েছিল ইয়র্কশায়ার। এদিনের ম্যাচ জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালের জায়গা পাকা করে নিত ল্যাঙ্কাশায়ার। এমন একটা ম্যাচে একটা গুরুত্বপূর্ণ রান আউটই করলেন না ফিল্ডাররা। যদিও অতি সহজেই সেই রান আউট করতে পারতেন ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটাররা। তবু তারা স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখালেন বাইশ গজে। দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন ক্রীড়াজগতে।
একটা সময়ে ম্যাচ জিততে হলে ১৮ বলে ১৫ রান করতে হত ল্যাঙ্কাশায়ারকে। সেই বাইশ গজে ব্যাট করছিলেন লুক ওয়েলস ও স্টিভেন ক্রফ্ট। ১৮তম ওভার বল করতে এলেন ইয়র্কশায়ারের ম্যাথিউ ওয়েট। ওভারের প্রথম বলেই এক রান নিতে যান লুক ওয়েলস। উল্টো দিক থেকে দৌড়ে আসা স্টিভেন ক্রফ্ট তখন হঠাৎ বাইশ গজের মধ্যেই পড়ে যান। এমন সময় রান আউট করার সূবর্ণ সুযোগ থাকলেও স্টিভেন ক্রফ্টকে রান আউট করেনি জো রুটের ছেলেরা। ম্যাচের পরে জানা যায় রান নিতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান ধরেছিল স্টিভেনের। পরপর ম্যাচ, সঙ্গে ইংল্যান্ডের গরমের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে। তবে এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে মাঠে চিকিৎসকরা ঢুকে পড়েন। স্টিভেন ক্রফ্টকে ধীরে ধীরে সুস্থ করা হয়। এরপরে আবারও মাঠে দাঁড়িয়ে পড়েন ক্রফ্ট। শুধু দাঁড়ালেনই না এদিন ল্যাঙ্কাশায়ারকে জেতালেন তিনি। ২৯ বলে করলেন ২৬ রান। টি টোয়েন্টি ব্লাস্টের কোয়ার্টারফাইনালে পৌঁছে গেল ল্যাঙ্কাশায়ার।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইয়র্কশায়ার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে জো রুটরা। দলের সর্বাধিক ৩২ রান করেন দলের অধিনায়ক রুট। জবাবে ১৯ ওভারেই ১৩১ রান তুলে ম্যাচ পকেটে তোলে ল্যাঙ্কাশায়ার। তবে এদিন যদি স্টিভেন ক্রফ্টকে ম্যাচের ঐ মুহূর্তে রান আউট করা যেত তাহলে এই ম্যাচ জেতা কঠিন হতো ল্যাঙ্কাশায়ারের। অন্যদিকে ম্যাচ জয়ের হাতছানি এলেও এদিনের ম্যাচ হেরেও স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করল ইয়র্কশায়ার। তবে স্টিভেন ক্রফ্ট সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন তাহলে কী অভিনয় করলেন ক্রফ্ট। কেউ কেউ তো আবার মজা করে লিখেছেন অস্কারের জন্য নমিনেশন পেতে পারেন ক্রফ্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।