পেন্ডুলামের মতো দুলছে লর্ডস টেস্টের ভাগ্য। একবার ম্যাচের রাশ নিউজিল্যান্ডের হাতে থাকে তো পরক্ষণেই ইংল্যান্ড চালকের আসনে চলে যায়। আপাতত তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা বেশি দেখাচ্ছে। যদিও এপর্যন্ত ম্যাচের গতিপ্রকৃতির দিকে তাকালে নিউজিল্যান্ডকে একেবারে লড়াইয়ের বাইরে ছিটকে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে নিশ্চিতভাবেই এটা বলা যায় যে, কিউয়িদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে জো রুট।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ম্যাচে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। ২২৭ রানের লিড ছিল তাদের হাতে এবং অবশিষ্ট ছিল ৬টি উইকেট। ডারিল মিচেল ৯৭ রান করে এবং টম ব্লান্ডেল ব্যক্তিগত ৯০ রানে নট-আউট ছিলেন। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে মিচেল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে ব্যক্তিগত শতরানের দোরগোড়া থেকে ফিরতে হয় ব্লান্ডেলকে। মিচেল ১০৮ ও ব্লান্ডেল ৯৬ রানে আউট হন।
আরও পড়ুন:- ENG vs NZ: মাত্র ৪ রানের জন্য লর্ডসে ৩৮ বছরের খরা কাটাতে পারলেন না টম ব্লান্ডেল
দুই তারকা ফিরতেই ধস নামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৮৫ রানে। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের ৯ রানের লিড বাদ দিলে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৭৭ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নবাগত ম্যাথিউ পটস ও অভিজ্ঞ স্টুয়ার্ট ব্রড। ২টি উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন।
শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড একসময় ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। অ্যালেক্স লিস ২০, জ্যাক ক্রাউলি ৯, ওলি পোপ ১০ ও জনি বেয়ারস্টো ১৬ রানে আউট হন। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৯০ রান যোগ করেন রুট ও স্টোকস। শেষে স্টোকস ৫৪ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে আউট হন। জো রুট অপরাজিত থাকেন ৭৭ রানে। সঙ্গে ৯ রানে ব্যাট করছেন বেন ফোকস।
আপাতত তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড শেষ ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২১৬ রান তুলেছে। জয়ের জন্য তাদের দরকার আরও ৬১ রান। হাতে রয়েছে ৫টি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে কাইল জেমিসন ৪টি ও ট্রেন্ট বোল্ট ১টি উইকেট নিয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।