ইস্টবেঙ্গলই জিতবে- ডার্বির দিন সকালে কলকাতায় পা রেখেই হুঙ্কার ক্লেটনের

ডার্বির দিন সকালেই শহরে পা রাখলেন লাল-হলুদের ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা। ডুরান্ডের ২৬ জনের নাম রয়েছে ক্লেটনের। কুয়াদ্রাত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ডার্বি ম্যাচের দিন সকালে এলেও ক্লেটনকে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বিমান সফরের ধকল কাটিয়ে আদৌ কি রিজার্ভ বেঞ্চে থাকতে পারবেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার?

ডার্বির দিন সকালে স্ত্রী এবং ছেলে, মেয়েকে নিয়ে শহরে ক্লেটন সিলভা।

অবশেষে ডার্বির দিন সকালেই কলকাতায় এসে পৌঁছলেন ক্লেটন সিলভা। ক্লেটনকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। প্রয়োজনে ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারকে ব্যবহার করার কথাও বলেছিলেন কুয়াদ্রাত। ক্লেটন সম্পর্কে আগে থেকেই খোঁজ খবর রাখছিলেন তিনি। ক্লেটন যে ফিট রয়েছেন, সেটাও জানিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তা হলে কি লাল-হলুদের সেরা অস্ত্রকে খেলতে দেখা যাবে?

শনিবার সকালেই স্ত্রী, ছেলে, মেয়েকে নিয়ে দমদম বিমানবন্দরে নামেন ইস্টবেঙ্গলের সেরা অস্ত্র। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ছিল গুটি কয়েক সমর্থকও। লাল হলুদ উত্তরীয়, পতাকা এবং ফুলের স্তবক দিয়ে ক্লেটনকে স্বাগত জানানো হয়। আর বিমানবন্দরে পা রেখেই ক্লেটন বলে দিলেন, ‘আশা করছি, ইস্টবেঙ্গল জিতবে।’

দীর্ঘ বিমান যাত্রা করে এলেও ক্লেটন সিলভার চোখে-মুখে বিরক্তি নেই। বরং তাঁকে দেখে বেশ ফুরফুরে মনে হচ্ছিল। নামার জন্য যেন তিনি তৈরিই রয়েছেন। তবে বিনা প্র্যাকটিসে ক্লেটনকে নামানোটা আদৌ কি যুক্তিসঙ্গত হবে? তবে তিনি ব্রাজিলে অনুশীলনের মধ্যেই ছিলেন। এদিন হোটেলে গিয়ে কয়েক ঘন্টা ঘুমিয়ে নিজেকে একটু তরতাজা করে নিয়ে বিকেলে মাঠে চলে যাবেন ব্রাজিলীয় তারকা। রিজার্ভ বেঞ্চে থাকলেও থাকতে পারেন তিনি।

মোহনবাগান ডিফেন্সে চাপ তৈরি করতে সিলভাকে ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতেই পারেন। জর্ডন এলিসেও কলকাতায় পা রাখার পর দিনই বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে তাঁকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। তার খেসারতও দিতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলরে। তাই ক্লেটনের ক্ষেত্রেও কি ফের একই ঝুঁকি নেবেন কুয়াদ্রাত?

গত বছর ইস্টবেঙ্গলের সেরা ফুটবলার ছিলেন এই ব্রাজিলীয়। ১২টি গোল করেছিলেন। একটা সময়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়েও ছিলেন। গতবারের তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য ক্লেটনের সঙ্গে একবছর চুক্তি বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের বর্ষসেরা ফুটবলারও ক্লেটন। এবার ভিসা সমস্যার জন্য তাঁর শহরে পৌঁছতে দেরি হয়। অবশেষে তিনি এলেন।

ক্লেটনের না থাকাটাকে আবার অ্যাডভান্টেজ মনে করছে না মোহনবাগানের ফুটবলাররা। ডার্বির আগের দিন দিমিত্রি অবশ্য বলেছেন, ‘ক্লেটন নিঃসন্দেহে ভালো প্লেয়ার। তবে আমাদের এগারো জনের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।’ তবে ক্লেটন খেলুন বা না খেলুন, ডার্বিতে ধারেভারে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এগিয়ে কিন্তু মোহনবাগানই। ইস্টবেঙ্গল এবার না জিতলে লজ্জার শেষ থাকবে না। ইতিমধ্যে ডার্বিতে টানা আট ম্যাচ হেরেছে তারা। নয়ে নয় হওয়াটা কি আটকাতে পারবে লাল-হলুদ?