হার দিয়ে চলতি আইএসএল-এর যাত্রা শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। কেরলের মাঠে প্রথমার্ধ পাল্লা দিয়ে লড়াই করলেও, দ্বিতীয়ার্ধ একাধিক ভুল করেছে লাল হলুদ ব্রিগেড। তবে দল হেরে গেলেও ছেলেদের পারফরমেন্স নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ দেখছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। ছেলেরা যে ভাবে লড়াই চালিয়েছে তাতে হতাশ নন কোচ। তবে অনেকেই বলছেন কথা রাখতে পারেননি স্টিফেন। লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়েও শেষ পর্যন্ত পরাজয় এড়াতে পারেনি তাঁর ছেলেরা। যে কারণে ইস্টবেঙ্গলকে সেই হার দিয়েই এবারের আইএসএল যাত্রা শুরু করতে হয়েছে।
স্টিফেন কনস্টানটাইন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দুটো গোল হজম করার পরেও তাঁর ছেলেরা গুটিয়ে যায়নি। এই রকম লড়াই চালাতে পারলে ছেলেরা যে অনেক দূর যাবে তা মেনে নিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ। স্টিফেনের মতে ছেলেদের এই মানসিকতা টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত রাখতে হবে। স্টিফেন হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, আইএসএল -এর মান ডুরান্ড কাপের থেকে অনেকটা এগিয়ে। তাছাড়া ইস্টবেঙ্গলর তুলনায় বেশি দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিল কেরল। তাই এমন খেলেছে কেরল ব্লাস্টার্স। তবে হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চান না লাল হলুদ কোচ।
আরও পড়ুন… পার্থে ট্রেনিং-এর লাইনে শুরুতে দাঁড় করান হল আর্শদীপকে! কারণ জানলে অবাক হবেন
ম্যাচের পরে স্টিফেন বলেছেন, ‘কোনও অজুহাত দিতে চাই না। তরুণ একটা দল নিয়ে ৬-৭ সপ্তাহ অনুশীলন করতে পেরেছি। প্রথমার্ধে আমরা সুযোগ পেয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের মনঃসংযোগে ঘাটতি ছিল। (আদ্রিয়ান) লুনা যখন গোল করে, তখন ওকে ওই জায়গায় পৌঁছতে দেওয়া ঠিক হয়নি। ওর সঙ্গে আমাদের কারও জুড়ে থাকা উচিত ছিল। আমাদের তো ভুল হয়েছেই। তবে কিছু ভালো দিকও আছে। কেরল গত বার চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল। ওদের সেই দলই খেলছে একই কোচের অধীনে। তা সত্ত্বেও প্রথমার্ধে আমরা ওদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারাই। পরের দুটো গোল আমরা নিজেদের দোষে খেয়েছি।’
মাঠে কেরল অনেক ভাল ফুটবল খেলেছে মেনে নিয়েছেন স্টিফেন। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় তার ছেলেরা মাথা গরম করে খেলা থেকে হারিয়ে গেছেন বলেও মনে করেন স্টিফেন। এই জিনিস আগামী দিনে বন্ধ করতে হবে। ব্রিটিশ কোচ মনে করেন মিডফিল্ড এবং ডিফেন্স এর মধ্যে বোঝাপড়া ডুবিয়েছে তার দলকে।
আরও পড়ুন… ১০৫ রান করেও ৭২ রানে জিতল শ্রীলঙ্কা! ৩৩ শেষ মালয়েশিয়া, শূন্য রানে ফিরলেন ৬ জন
স্টিফেন উল্লেখ করেছেন ম্যাচ প্র্যাকটিসের কথা। তিনি বলেছেন, ‘একটা দল যত ম্যাচ খেলে, তত তারা ম্যাচের উপযোগী হয়ে ওঠে। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ওটাই এই মরশুমে আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল এবং আমরা ভালই খেলেছিলাম। ঠিক ঠাক পরিবর্তন করে খেলোয়াড় নামিয়েছিলাম। এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। এর পর কলকাতায় এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলব। এখন থেকেই সেই ম্যাচের ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে।’
এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে চান ভারতীয় ফুটবলের সফল কোচ। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন অনেক দূর লক্ষ্য রেখে এগোতে চান না তিনি। একটি করে ম্যাচ হিসাব করে প্ল্যানিং করতে চান। নিজের লক্ষ্যের প্রতি অবিচল লাল হলুদের ব্রিটিশ কোচ। তিনি আরও বলেছেন, ‘দু’বছর পরে সমর্থকদের সামনে মাঠে নামার অভিজ্ঞতা অবশ্যই দুর্দান্ত। ভারতীয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা যে এখনও ছিটেফোঁটা কমেনি তা এর থেকেই বোঝা যায়। আমার মনে হয় ভারতের নিয়মিত এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করা উচিত। ভবিষ্যতে ভারতকে বিশ্বকাপে দেখা যেতেই পারে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।