যে তিমিরে ছিল ইস্টবেঙ্গল, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। নর্থইস্টকে পাঁচ গোল দেওয়ার পরের ম্যাচেই আইএসএলে নবাগত পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ধারাবাহিকতার কোনও ধার ধারার বিষয় নেই ইস্টবেঙ্গলের। তা না হলে ১১ নম্বরে থাকা দলের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে বসে তারা!
যবে থেকে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলছে, তবে থেকে ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে। কোচ, ফুটবলার বদলে, দলের খোলনোলচে বদলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। গোটা ম্যাচে একাধিক সুযোগ নষ্ট, প্রচুর মিস পাস- সব মিলিয়ে ফের নিরাশায় ডুবল লাল-হলুদ। আগের ম্যাচের ছন্দের ছিটেফোঁটাটুকুও খুঁজে পাওয়া যায়নি শনিবাসরীয় যুবভারতীতে। উল্টে জুয়ান মেরার শট বারে না লাগলে, হয়তো হেরেও যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল।
আইএসএলে কখনও টানা দু'টি ম্যাচে জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। শনিবারও সেটা হল না। জেতার পরের ম্যাচেই আটকে গেল লাল-হলুদ। আগের ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গল ৫-০ জিতেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। তবে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকতার অভাবেই ডুবল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হল। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট না পেলেও অবশ্য আফসোস নেই ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। শেষ পর্যন্ত যে পয়েন্ট খোয়ায়নি তাঁর দল, একেই তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন।
ম্যাচের পরে রাতে সাংবাদিক বৈঠকে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমার মনে হয় না আজ আমাদের কোনও সমস্যা ছিল বা আমরা খারাপ খেলেছি। আজ আমাদের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের আটকানোর যাবতীয় চেষ্টা ওরা করেছে। আমরা যেমন ওদের চেয়ে বেশি আক্রমণ করেছি, তেমনই ওদের বক্সে বেশি হানা দিয়েছি। কিন্তু শেষ পাস বা ক্রসের ক্ষেত্রে দুই দলই প্রায় সমান ছিল। এক্ষেত্রে আমরা কেউই ভাল কিছু করতে পারিনি।’
একাধিক আক্রমণ সত্ত্বেও গোল না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ওদের গোলের সামনে গিয়ে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। গোল পেলে ম্যাচটা অন্য রকম দাঁড়াত। তবে দলের ছেলেদের চেষ্টায় আমি খুশি। আমরা যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না, তা আমরা বোঝাতে পেরেছি। তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যে লড়াই প্রয়োজন, তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা করেছি। ফুটবলে তো গোলই আসল। সে জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। তবে ক্লিন শিট বজায় রাখতে পেরেছি এবং তিন পয়েন্ট খোয়াইনি। গোল না পেলে গোল আটকাতে হবেই। জানুয়ারির অবকাশের আগে এখনও আমাদের সামনে ছ’পয়েন্ট অর্জন করার সুযোগ আছে। এই ছ’পয়েন্ট খুবই জরুরি। এই ভাবেই লড়ে যেতে হবে আমাদের।’
দলের রক্ষণেরও প্রশংসা করে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমাদের রক্ষণ যে শক্তিশালী, সেটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। গোল খাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন ছিল আমাদের। ওদের আমরা আজ কোনও সহজ সুযোগও তৈরি করতে দিইনি। মেরার যে শটটা পোস্টে লাগল, সেটা ছাড়া ওরা আর কোনও ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আমাদের ক্লেটন, বিষ্ণুরা সেই তুলনায় ভালো ভালো সুযোগ পেয়েছে। এই ম্যাচে হয়তো আমরা এক গোলে জিততে পারতাম। কিন্তু সে জন্য তো বল গোলে ঢোকাতে হবে। এখন আমাদের পরের ম্যাচের প্রস্তুতির দিকে তাকানো ছাড়া কোনও উপায় নেই।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।