বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > EB vs MB: কেন গোলের পর ছুটে গিয়েছিলেন গ্যালারির দিকে, আবেগের বোমা ফাটিয়ে উত্তর দিমির

EB vs MB: কেন গোলের পর ছুটে গিয়েছিলেন গ্যালারির দিকে, আবেগের বোমা ফাটিয়ে উত্তর দিমির

দিমিত্রি পেত্রাতোসের একমাত্র গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। (Bibhash Lodh)

বদলার ডার্বিতে পেত্রাতোসের একমাত্র গোলেই ১০ জনের মোহনবাগান জয় ছিনিয়ে নেয়। গোলের পর নিজের উচ্ছ্বাস একেবারেই গোপন করেননি দিমি। বরং গোলের পর তিনি নিজের উচ্ছ্বাস ভাগ করে নেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সঙ্গে।

গোল করে তিনি সোজা দৌড় লাগালেন। মাঠের সীমানা ছাড়িয়ে চলে গেলেন যুবভারতীর দর্শকাসনের সামনে। রেলিং ধরেই সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। মনে হচ্ছিল যেন, তিনি যাবতীয় যন্ত্রণার লৌহ কপাট ভেঙে ফেলতে চাইছেন। আবেগে, উচ্ছ্বাসে সবুজ-মেরুন সমর্থকরাও যেন তখন যেন পাগলপাড়া।

ম্যাচের ৬২ মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপা লালকার্ড দেখার পরেই, একেবারে ভেঙে পড়েছিল বাগান জনতা। ভেবেছিল বোধহয়, ফের গ্রুপ লিগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। তবে পেত্রাতোসের গোলের পর যেন জেগে ওঠে ঘুমন্ত দৈত্য। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই উৎসবে মেতে ওঠে সবুজ-মেরুন শিবির। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পেত্রাতোস বলছিলেন, ‘গোলটা করার পর কী করব বুঝতেই পারছিলাম না তাই সোজা দৌড়ালাম সমর্থকদের দিকে।’

দিমিত্রির সারা শরীরে গ্রিক দেবতার ট্যাটু রয়েছে। তিনি অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ এক ফুটবলার। যিনি জীবনের বেশিরভাগ সময়টি কাটিয়েছেন নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ান (এ) লিগের ব্রিসবেন রোয়ার ও সিডনি থান্ডার্স ক্লাবে। এমন কী নিউক্যাসল জেটস ক্লাবে খেলেছেন তিনটি মরশুম।

আরও পড়ুন: ম্যাচ হেরেও বাগানকে খোঁচা, তবে মানের তফাতের কথা স্বীকার করে নিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ

তবে নয় নয় করে মোহনবাগানের জার্সিতে পেত্রাতোস কিন্তু করে ফেলেছেন ১৩টি গোল। বাগানে এসেই এই দিমিত্রি হ্যাটট্রিক করেছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে, সেটি ছিল সবুজ মেরুন সংসারে তাঁর দ্বিতীয় ম্যাচ। এ লিগেও তিনি বুলডোজার শটে বহু গোল করেছেন। আচমকা চকিতে শট নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দু'টি পা-ই ভালো চলে। যদিও দিমিত্রি মনে করেন তাঁর বা-পা বেশি ধারালো।

বদলার ডার্বিতে তাঁর একমাত্র গোলেই ১০ জনের মোহনবাগান জয় ছিনিয়ে নেয়। গোলের পর নিজের উচ্ছ্বাস একেবারেই গোপন করেননি দিমি। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেন, ‘যে কোনও মূল্যে ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলাম। এই ধরনের বড় ম্যাচে সমর্থকদের একটা আলাদা আবেগ থাকে। গোলের পর আমিও সেই আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।’

আরও পড়ুন: দশ জনের বাগানের কাছেও হার ইস্টবেঙ্গলের, কোন ছকে বাজিমাত করলেন ফেরান্দো?

খেলা শেষে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে ডুরান্ড জয়ী কোচ ফেরান্দোও বলেছেন, ‘দিমি যে গোলটি করেছে, সেটি ওর পক্ষেই সম্ভব। এমনিতেই ও বড় শরীরের একটা সুবিধে পায়, সেটাই কাজে লাগিয়েছে এদিনের ম্যাচেও।’

অন্যদিকে, কুয়াদ্রাত অভিযোগ করে গেলেন মোহনবাগান বেশি প্লেয়ার সই করিয়ে ডুরান্ড খেলছে। এই অভিযোগকে একেবারেই পাত্তা না দিয়ে সবুজ মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দোর দাবি, ‘যে যা খুশি বলুক এসবে আমি পাত্তা দিই না। আমার কাজ যেটুকু আমি শুধু সেদিকেই মন দিই।’

এদিন শুরু থেকে জেসন কামিন্সকে না খেলানোর কারণ হিসেবে ফেরান্দো বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধ অন্য পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু থাপার লাল কার্ডের আমাদের পরিকল্পনা একটু পরিবর্তন করতে হয়।’

বন্ধ করুন