ম্যাচের পর হাউমাউ করে কাঁদছিলেন ভুবনেশ্বরের স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকা ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা। এই অশ্রু আসলে যন্ত্রণার নয়, আনন্দাশ্রু। ১২ বছরের লাঞ্ছনা, যন্ত্রণা, বিদ্রুপের থেকে অবশেষে মুক্তি পেল লাল-হলুদ। আবেগে, উচ্ছ্বাসের পতাকা ভাসিয়ে তখন আত্মহারা ইস্টবেঙ্গল শিবির। গোটা কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের রংটাই এদিন বদলে গেল লাল-হলুদে। ওড়িশার ডেরায় গিয়ে তাদের ৩-২ গোলে হারিয়ে, শিরোপা জয়ের স্বাদ, এ যে অভূতপূর্ব। সুপার কাপের ফাইনালের প্রতিটি পরতে ছিল নাটকীয়তায় ভরা। বিরতিতে ০-১ পিছিয়ে পড়েও, ম্যাচে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন লাল-হলুদের। ইস্টবেঙ্গল ১-২ এগিয়ে যাওয়ার পরে, নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ২-২ করে ফেলে ওড়িশা। তার আগে অবশ্য ১০ জন হয়ে গিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণরা। আসলে ম্যাচের প্রতিটা মুহূর্তই ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। একস্ট্রা টাইমে আবার ইস্টবেঙ্গল ১০ জন হয়ে যায়। সমানে সমানে লড়াইয়ে উৎকন্ঠার পারদ বেড়েছে প্রতি মুহূর্তে। শেষমেশ একস্ট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে ৩-২ করে ফেলেন ক্লেটন সিলভা। আর গোলশোধ করতে পারেনি ওড়িশা।
খেলা শেষ… চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেল। ওড়িশা এফসি-কে অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচে ৩-২ হারিয়ে ট্রফি জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল। কাটল ১২ বছরের অভিশাপ। নাটকীয় ম্যাচ জিতে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন লাল-হলুদ।
গোওওওওলললল… ক্লেটন এগিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে
১১১ মিনিট- ওড়িশা এফসি গোলকিপার পাস করেছিলেন নরেন্দ্রকে। বল ধরে রাখতে পারেননি নরেন্দ্র। তাঁর থেকে বল কেড়ে নিয়ে অনবদ্য গোল করলেন ক্লেটন সিলভা। এদিকে গোলের পর জার্সি খুলে সেলিব্রেশন করে হলুদকার্ড দেখলেন ক্লেটন।
দুরন্ত সেভ প্রভসুখনের
১০৭ মিনিট- রয় কৃষ্ণ বক্সের বাইরে থেকে শট নেন। কিন্তু প্রভসুখন গিল দুরন্ত সেভ করেন। ইসাক ফিরতি শটে গোল করার চেষ্টা করছিল। সেটি মাঠের বাইরে চলে যায়। অফসাইডের পতাকাও তোলেন রেফারি।
একস্ট্রা টাইমে বিরতি
একস্ট্রা টাইমে বিরতি হয়ে গেল। কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। কী হবে খেলার ফল? জিতবে লাল-হলুদ?
গোলের চেষ্টা লাল-হলুদের
১০৩ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের কর্নার কিক ওড়িশা সহজেই ক্লিয়ার করে দিয়েছে। লাল-হলুদ গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কী হবে খেলার ফল?
১০ জন হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
৯৭ মিনিট- বড় ধাক্কা খেল লাল-হলুদ। শৌভিক চক্রবর্তী ভালো খেলছিলেন। কিন্তু তিনি দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখেন। এবং তাঁকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়। ১০ জন হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলও। প্রসঙ্গত আগেই ১০ জন হয়ে গিয়েছিল ওড়িশা।
একস্ট্রা টাইমের খেলা শুরু
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ ড্র হওয়ায় একস্ট্রা টাইমে গড়িয়েছে খেলা। সেই খেলা শুরু হয়ে গেল। এবার একস্ট্রা টাইমে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত না হলে, টাইব্রেকারে গড়াবে খেলা।
গোওওওললল… ২-২ করল ওড়িশা
৯০+৮ মিনিট- জহৌ পেনাল্টি থেকে শট নিতে আসেন। কোনও ভুল করেননি তিনি। জোরালো শট জালে জড়ায়। ২-২ করে ফেলল ওড়িশা।
পেনাল্টি পেল ওড়িশা
৯০+৭ মিনিট- মরিসিও বল নিয়ে বক্সের মধ্যে দৌড়ে ঢুকছিলেন। প্রভসুখন গিল এগিয়ে এসে তাঁকে ফাউল করেন। ওড়িশা এফসিকে পেনাল্টি দেয় রেফারি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে কপাল পুড়ল ইস্টবেঙ্গলের।
সাত মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। সাত মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। এই সাত মিনিট লিড ধরে রাখতে পারবে লাল-হলুদ? কোনও অঘটন ঘটবে না তো?
লাল-হলুদের পরিবর্তন
৮৬ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল অদ্ভূত একটি পরিবর্তন করল। বিষ্ণুর পরিবর্তে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নামানো হল। সম্ভবত কুয়াদ্রাত সময় নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কারণ ইতিমধ্যে খেলা ৮৬ মিনিট হয়ে গিয়েছে।
দুরন্ত সেভ ওড়িশা গোলরক্ষকের
৮৩ মিনিট- প্রতি আক্রমণে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর সঙ্গে আবার ওয়ান-অন-ওয়ানে মাউইয়া। কিন্তু দুরন্ত সেভ করেন ওড়িশার গোলরক্ষক। অন্তত তিনটি পরিষ্কার গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। এই গোলগুলো হলে, অনেক আগেই খেল খতম হয়ে যেত ওড়িশা এফসি-র।
ইস্টবেঙ্গলে পরিবর্তন
৭৪ মিনিট- একটি পরিবর্তন করল ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমারকে তুলে নিয়ে বিষ্ণুকে নামালেন কুয়াদ্রাত। প্রসঙ্গত, নন্দের দুরন্ত গোলেই কিন্তু বিরতির পর সমতা ফেরায় লাল-হলুদ।
দশ জন হয়ে গেল ওড়িশা
৬৯ মিনিট- বোরহার সঙ্গে ফের দ্বন্ধ মোর্তাদা ফলের। বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা বোরহাকে কনুই মারেন ফল। রেফারি হলুদকার্ড দেখান। এই ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখলেন মোর্তাদা ফল। স্বাভাবিক ভাবেই সেটি লালকার্ড হয়ে যাওয়ায় মাঠ ছাড়তে হল মোর্তাদাকে।
গোওওওললল… ক্রেসপো ২-১ করলেন
৬২ মিনিট- ক্রেসপো পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসেন। এবং দুরন্ত শট জালে জড়ান। সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ এগিয়ে দিলেন ক্রেসপো।
পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল
৬০ মিনিট- আগের মিনিটেই নন্দকুমারকে ফাউল করেছিলেন দেলগাডো। তার পরও পেনাল্টি দিলেন না রেফারি ভেঙ্কটেশ। যা নিয়ে মাঠে উত্তেজনাও দেখা যায়। পরের মিনিটেই বোরহাকে ফাউল করা হলে, পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল।
গোওওওললল… সমতা ফেরাল ইস্টবেঙ্গল
৫২ মিনিট- সমতা ফেরাল ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত গোল করলেন নন্দকুমার। মহেশ উইথ দ্য বল দারুণ দৌড়ে এসে মাপা শটে বল বাড়ান নন্দাকে। নন্দা বল পেয়ে একক দক্ষতায় ওড়িশার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এবং তার পর গোলরক্ষককে বিট করে জালে বল জড়ান। নিঃসন্দেহে দুরন্ত গোল।
ইস্টবেঙ্গলের জোড়া পরিবর্তন
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোড়া পরিবর্তন করেছে ইস্টবেঙ্গল। সিভেরিও এবং মান্দারের পরিবর্তে নামানো হল মহেশ এবং লালচুংনুঙ্গাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। ইস্টবেঙ্গলকে বিরতির পরেই গোল করতে হবে। তা না হলে কিন্তু কপালে দুঃখ আছে।
বিরতিতে ০-১ পিছিয়ে লাল-হলুদ
বিরতিতে ০-১ পিছিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ওড়িশা। তাদের আক্রমণের ঝড়ে কেঁপে গিয়েছে লাল-হলুদের ডিফেন্স।ইস্টবেঙ্গল কি পারবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে?
তিন মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। ইস্টবেঙ্গল ০-১ পিছিয়ে। তিন মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের প্রয়াস
৪২ মিনিট- ক্রেসপো প্রথমে মিডফিল্ডে জহৌকে কাটান, তার পর বক্সের সামনে ডেলগাডোকে কাটিয়ে শট নেন। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেই শট।
গোওওওওওলললল… ১-০ এগিয়ে গেল ওড়িশা
৩৯ মিনিট- ফ্রি-কিক থেকে আহমেদ জহৌয়ের থেকে বল পান রয় কৃষ্ণ। কৃষ্ণ বুদ্ধি করে ডিফেন্ডারদেরকে তাঁর দিকে টেনে নিয়ে এসে, মরিসিও-কে বল বাড়ান। সেই বল ধরেই ডান পায়ে জালে বল জড়ান।
বড় সুযোগ মিস পারদোর
৩২ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল ফ্রি-কিক পায়, আর একটি সেট-পিস সুযোগ। পারদো একটি সেট-পিস থেকে ফ্রি-কিক নেন এবং তাঁর জোরালো একটি শট সেভ করেন ওড়িশার গোলকিপার।
আগ্রাসী ওড়িশা
২৩ মিনিট- গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ওড়িশা। লাল-হলুদের রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে ওড়িশা। ইশাক ডান দিক থেকে বাঁ-দিকের ফ্ল্যাঙ্কে একটি ক্রস পায়, পাশে রাকিপকে পায়, কিন্তু কেন্দ্রে তাঁর ক্রস শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল সাফ করে দেয়।
গোলের সুযোগ নষ্ট ওড়িশার
১৫ মিনিট- ওড়িশার আক্রমণ অব্যাহত। রয় কৃষ্ণ বল নিয়ে প্রায় মাঝমাঠ থেকে উপরে ওঠেন। এর পর মরিসিও বল পেয়ে শট মারলেও, সেটি জালে জড়াতে পারেননি। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ইস্টবেঙ্গল।
সুযোগ হাতছাড়া ওড়িশার
১২ মিনিট- রয় কৃষ্ণ ডানদিক থেকে বল নিয়ে উঠে আসে, তার পর বাঁ-দিকে সরে এসে বক্সের বাইরে থেকে শট নেয়। অল্পের জন্য শট গোলপোস্টের পাশ ঘেষে বেরিয়ে যায়।
আগ্রাসী ওড়িশা
৭ মিনিট- বোর্জা তার মার্কারকে ড্রিবল করে বাঁ-দিকে ক্রস করে নন্দাকে বল বাড়ান। কিন্তু ওড়িশা এফসি তৎপর হয়ে সেই বল আটকে দেয়। ওড়িশা এফসি বেশ আগ্রাসী মেজাজে রয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ
৪ মিনিট- ওড়িশা মাঝমাঠে ফাউল করে বসে। পার্দো ফ্রি-কিক নিলে, সেটি প্রথমে ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়। সেই বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে নন্দা শট নেওয়ার চেষ্টা করলে, মাউইয়া সেটি বাঁচিয়ে দেন।
খেলা শুরু
সুপার কাপের ফাইনাল খেলা শুরু হয়ে গেল। পারবে ইস্টবেঙ্গল ১২ বছরের খরা কাটাতে?
পরিসংখ্যানে এগিয়ে ওড়িশা
এর আগে দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছে মোট সাত বার। পাঁচ বারই জিতেছে ওড়িশা। মাত্র এক বার জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সুপার কাপের প্রথম বছর, ২০১৮-য় এই কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেই ফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। সে বার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল বেঙ্গালুরু এফসি। সে বার সুনীল ছেত্রীর দলের কাছে ১-৪-এ হেরেছিল লাল-হলুদ বাহিনী। সেই কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেই ফের সুপার কাপের খেতাবি লড়াইয়ে নামতে চলেছে তারা।
ওড়িশার একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
লোবেরা উবাচ
লোবেরা বলেছিলেন, ‘এএফসি কাপে আমরা মোহনবাগান এসজি, বসুন্ধরা কিংসের মতো ভালো ভালো দলকে হারিয়েছি। এই টুর্নামেন্টে আমরা এফসি গোয়া, মুম্বই সিটি এফসি-র মতো ভালো মানের দলকে হারিয়েছি। ফাইনাল নিয়েও আমি আত্মবিশ্বাসী। কারণ, আমি আমার দলের ছেলেদের ওপর দু'শো শতাংশ ভরসা করি। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, বড় বড় ম্যাচ খেলার জন্য ওরা প্রস্তুত। এই ম্যাচও সে রকমই।’
কুয়াদ্রাত উবাচ
লাল-হলুদ কোচ বলেছেন, ‘মরশুমের দ্বিতীয় ফাইনালে ওঠাটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডুরান্ড কাপে প্রথম ফাইনালে জিততে পারিনি। তাই এই ফাইনালে জেতার জন্য নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা খুব ভালো জায়গায় আছি। অনেক দিন ধরেই ভালো ফলের জন্য লড়ছি আমরা। দুই ফাইনালিস্টই খুব ভালো ছন্দে রয়েছে। আমরা যেমন ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে আসছি, ওড়িশাও অনেক দিন ধরে অপরাজিত রয়েছে। তবে একটা দলকে তো হারতেই হবে। দুর্ভাগ্যবশত, এই ম্যাচে যে কোনও এক পক্ষের ছন্দপতন হবেই। আমাদের কাছে খুব কঠিন ম্যাচ এটা। কিন্তু আমরা সব সময়ই চাই জিততে। প্রতি ম্যাচেই গোল পাচ্ছি আমরা। এই ম্যাচেও পেতে হবে।’
ডুরান্ড হাতছাড়া আফসোস এবার মেটাতে চায় লাল-হলুদ
কয়েক মাস আগে মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেও, চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে হেরে যেতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। সেই আফসোসটা ষোল আনা রয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের। ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও শিরোপা জেতার এই সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে চান না। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে জিতে, ট্রফি নিয়ে কলকাতায় ফিরতে মুখিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ।
ওড়িশা এফসি কঠিন গাঁট
ইস্টবেঙ্গল যেমন টানা ন’ ম্যাচ অপরাজিত থেকে সুপার কাপের ফাইনালে খেলতে নামছে, প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি-র ধারাবাহিকতা আরও বেশি। গত বছর ২৭ অক্টোবর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-২ হারার পর থেকে আর কোনও ম্যাচে হারেনি ওড়িশা। এই ১৫টি ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পায় ১৩টিতে। দু’টি ড্র করে। দু’টিই কলকাতার দুই প্রধানের বিরুদ্ধে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ২-২ এবং ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোলশূন্য। তাই ইস্টবেঙ্গলকে আলাদা নজরে দেখছেন লোবেরা।
১২ বছরের ট্রফির খরা কাটানোর চ্যালেঞ্জ লাল-হলুদের
লাল-হলুদ ভাল ফর্মে রয়েছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ন’টি ম্যাচে অপরাজিত তারা। তার মধ্যে, ইস্টবেঙ্গল পাঁচটিতেই জিতেছে। এটাই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে পুরো দলকে। পাশাপাশি তারা সুপার কাপেও প্রতিটি ম্যাচেই জিতেছে। ক্লেটন সিলভা যেমন চার গোল করে নজর কেড়েছেন। তেমনই বাকিরাও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ওড়িশাকে আটকাতে পারলেই ১২ বছরের ট্রফির খরা কাটবে লাল-হলুদের। শেষ ১২ বছর সর্বভারতীয় পর্যায়ে কোনও ট্রফি জেতেনি ইস্টবেঙ্গল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।