শনিবার সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ড্র করায়, লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের কিছুটা সুবিধা হয়েছিল। খেতাবি দৌড়ে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রাখতে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে লিভারপুলকে জিততেই হত। কিছুটা বিতর্কিতভাবে হলেও, সেটাই করে দেখাল জুরগেন ক্লপের দল।
প্যালেসের ঘরের মাঠে, গত মরশুমে ৭-০ ম্যাচ জিতেছিল রেডসরা। শুরু থেকেই প্যালেস ডিফেন্সকে চাপে ফেলার পর অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্ণার থেকে ভার্জিল ভ্যান ডাইক মাত্র আট মিনিটেই লিভারপুলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ফের একবার লিভারপুল বড় ব্যবধানে জয়ের আশা জাগায়। প্যালেসের আশঙ্কা বাড়িয়ে ৩২ মিনিটে ম্যাচে রবার্টসনের দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে লিভারপুলের লিড দ্বিগুন করেন অ্যালেক্স অক্সালেড-চেম্বারলিন। প্রথমার্ধ লিভারপুলের পক্ষে ২-০ স্কোরেই শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য পুরোপুরি ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় প্যালেস। ৫৫ মিনিটে জেফ্রি স্লাপের অসাধারণ থ্রু বল থেকে ম্যাটেয়ার পাসে কার্যত ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে প্যালেসকে ম্যাচে ফেরত আনেন ওডসন এডুয়ার্ড। ক্রমাগত প্যালেসের চাপে দিশেহারা মনে হচ্ছিল লিভারপুলকে। এমন সময়ই ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দীর্ঘ ভিএআর চেকের পর প্যালেস গোলরক্ষক গুয়াইটা পেনাল্টি বক্সে দিয়োগো জোটাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় লিভারপুল।
রিপ্লেতে স্পষ্টভাবেই বল জোটার দখলে যে ফাউলের সময় ছিল না, তা দেখা গেলেও বিতর্কিতভাবে লিভারপুলকে পেনাল্টি দেওয়া হয়। সালাহের অনুপস্থিতিতে ফ্যাবিনহো পেনাল্টি থেকে গোল করে লিভারপুলের হয়ে জয় সুনিশ্চিত করেন। অ্যালিসনের দুর্দান্ত কয়েকটি দুটি সেভ এবং দুইবার বড় সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হয় প্যালেসকে। এই জয়ের ফলে লিভারপুল ম্যান সিটির থেকে এক ম্যাচ কম খেলে নয় পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বজায় রইল। তাদের পয়েন্ট সংখ্যা ৪৮। অপরদিকে, ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ১৩ নম্বরে রইল প্যালেস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।