বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > Durand Cup: কিছু বিষয়ের বিরুদ্ধে লড়া যায় না, ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়ে কার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নর্থইস্ট কোচ?

Durand Cup: কিছু বিষয়ের বিরুদ্ধে লড়া যায় না, ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়ে কার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নর্থইস্ট কোচ?

গোলের পর নর্থ ইস্ট ফুটবলারদের সেলিব্রেশন।  (Hindustan Times)

ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ হার। তবে ছেলের প্রশংসায় গর্ববোধ করছেন নর্থইস্ট কোচ।

ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল এফসি এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেড। এই ম্যাচে আমার আগে দুই দলই টুর্নামেন্টে অপরাজিত ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই যে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে সে নিয়ে কারও সন্দেহ ছিল না। আর হল তাই। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত কোনও দলই নিজেদের এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে জিতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। তবে প্রথম দিকে পিছিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। একদম শেষ লগ্নে এসে ম্যাচ হারার পর নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কোচ জুয়ান পেদ্রো বেনালি জানান, তিনি তাঁর দলের ছেলেদের নিয়ে গর্ববোধ করছেন।

এদিনের খেলার শুরুতে মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে যাবে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। তারা ২-০ তে এগিয়েও যায়। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের দেখে মনে হচ্ছিল অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাঠে খেলতে নেমেছে তারা। মিগুয়েল জোবাকো এবং ফাল্গুনী সিং নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন। খেলার ২২ মিনিটে প্রথম গোল করে তারা। এরপরে দ্বিতীয় অধ্যায়ের খেলা শুরু হওয়ার পর ৫৭ মিনিটে আরও একটি গোল করে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। দুটি গোল খাওয়ার পর টনক নড়ে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। ভুল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। বারবার আক্রমণ শোনাতে থাকে নর্থইস্টের গোলে। ফলস্বরূপ ৭৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় লাল হলুদ বাহিনী। এরপরে সংযুক্ত সময়ে গোল করেন নন্দকুমার। খেলার ফলাফল ২-২ হয়।

এরপর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে যেতে নেয় ইস্টবেঙ্গল। প্রায় জেতা ম্যাচ হেরে গিয়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কোচ জুয়ান পেদ্রো বেনালি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'আমরা সব সময় খেলার মাঠে বলি ফুটবলের একটা নিয়ম রয়েছে যদি তুমি প্রতিপক্ষকে না মারো তাহলে প্রতিপক্ষ তোমাকে মেরে দেবে। এই ম্যাচে সেটাই হয়েছে। আমাদের কাছে ৪-৫টা কাউন্টার অ্যাটাকের সুযোগ এসেছিল। সেইগুলি কাজে লাগাতে পারলে খেলাটা আমাদের পক্ষেই যেত। কিন্তু তা হয়নি। আমাদের দল একদম তরুণ এখান থেকে আমরা আরও কিছু শিখব। সেমি ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য আমি আমার দলের ছেলেদের নিয়ে গর্ববোধ করি।' পাশাপাশি তিনি যে রেফারিং নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন বেনালি। 

তিনি আরও বলেন, 'আমি এই ম্যাচটাকে বেশ ভালো ভাবে উপভোগ করেছি। কিন্তু ফলাফলটাকে নয়। তবে এর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমরা সত্যিই গর্বিত। কিছু কিছু জিনিস আছে যার বিরুদ্ধে কখনোই লড়া যায় না। আমি মনে করি আমাদের দলে ২৬ জন সেরা ফুটবলার রয়েছেন। আমার জন্য তারা পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়। এছাড়াও আমি আমার দলের সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে চাই। যারা আমাদের সমর্থনের জন্য এসেছিল তারা সত্যিই আমাদের মনোবল অনেক বাড়াতে সাহায্য করেছে। ইস্টবেঙ্গলকেও আমি আমার শুভেচ্ছা জানাই।' অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মোহনবাগান যদি ম্যাচ জিততে পারে তাহলে রবিবার ডুরান্ড কাপে দেখা যাবে ডার্বি।

বন্ধ করুন