স্বপ্নভঙ্গ হল ৬ বাঙালি ফুটবলারের! বিদেশের মাটিতে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ মিলল না তাদের। এখনও সেই ছয় ফুটবলারকে স্পেনে পাঠাতে পারল না ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ)। স্বাভাবিকভাবে এর জন্য মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন সেই তরুণ ফুটবলার সহ তাদের পরিবার। যদিও এই বিষয়ে নিজেদের যুক্তি পেশ করা হয়েছে আইএফএর তরফ থেকে। সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন যে ৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের ভিসা প্রথম দফায় বাতিল করে দিয়েছে স্পেনের দূতাবাস এবং একজন সময়মতো পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেননি। অন্যদিকে, সেই ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা পূরণ না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সকলে। পাশাপাশি, তারা এটাও জানান যে দিনদিন হতাশ হয়ে পড়ছে তাদের ঘরের ছেলেরা।
গতবছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালের, মে মাসে আইএফএ ও বাংলা নাটক ডট কম যৌথভাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছিল যে বাংলা থেকে ছয় প্রতিভাবান ফুটবলারকে স্পেনের ক্লাব সিএফ মন্ট্রিল ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে ২১ দিনের ট্রায়ালের জন্য পাঠানো হবে এবং যদি স্প্যানিশ কোচের নজরে তারা উত্তীর্ণ হয়, তাহলে স্পেনের পঞ্চম ডিভিশনে তারা খেলার সুযোগ পাবে। কিন্তু এক বছর হতে যায়, তা সত্ত্বেও একটি ধাপও এগোতে পারল না তারা। এই প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছেন, 'এই ছয় ফুটবলারদের মধ্যে পাঁচজনের ভিসা প্রথম দফায় বাতিল করে দিয়েছে স্পেনের দূতাবাস এবং আরেকজন সময়মতো পাসপোর্ট বানাতে পারেনি। এবার আপনারাই বলুন এতে এখন আমাদের কি করার আছে?'
এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইএফএ সহ সভাপতি সৌরভ পালও। তিনি জানিয়েছেন যে এর জন্য বদনাম হচ্ছে আইএফএর। সৌরভ পাল বলেন, 'কোনও টেকনিক্যাল সমস্যা হয়ে থাকলে সেটা আইএফএর দায়িত্ব জানানোর। এতে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি না কেন আইএফএ এমন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়?'
এই ছয় ফুটবলারের নাম প্রেমাংশু ঠাকুর, দেবজিৎ রাউত, বিশাল সূত্রধর, মহেশ্বর সিং সর্দার, অরিজিৎ বিশ্বাস ও অনিকেত মন্ডল। শুধু তারাই নয়, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে তাদের গোটা পরিবারও। অধিকাংশেরই আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। তারা দাবি করেছেন এই পরিস্থিতি দেখে তারা সকলেই মর্মাহত। মহেশ্বর সর্দারের মা যমুনা সর্দার বলেন, 'ছেলে বিদেশ যাবে শুনে অতি কষ্ট করে ৬০০০ টাকা জোগাড় করে ওকে দামি জুতো, বুট, সবকিছু কিনে দিয়েছিলাম। এখন শুনছি যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমরা সকলেই খুব ভেঙে পড়েছি।' অন্যদিকে প্রেমাংশু ঠাকুর বলেন, 'মা লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। সকলেই জানতো যে আমি সুযোগ পেয়েছি এবং বিদেশে যাব। কিন্তু এখন যখন তা হচ্ছে না তাই লোকের থেকে অনেক কথা শুনতে হচ্ছে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।