গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে এ মরশুমের আইএসএলের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে শিল্ড জয়ী জামশেদপুরের মুখোমুখি হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। লাগাতার সাত ম্যাচ জিতে আসা ওয়েন কয়েলের জামশেদপুরই কিন্তু এই ম্যাচের আগে এগিয়েছিল। তবে হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ের পর জামশেদপুরকে ১-০ গোলে মাত দিল কেরালা।
ম্যাচের শুরুটা কিন্তু জামশেদপুরই বেশি ভালভাবে করেছিল। দুরন্ত ফর্মে থাকা ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল করার ভাল সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর শট নেটের ভুলদিকে জড়ায়। ২০ মিনিটের মাথায় আরও একবার গোলের সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন চুকুউ। এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে কেরালা। ২৫ মিনিটে জর্জ ডিয়াজের একটি হেডার পিটার হার্টলি গোললাইনে হেড করে ক্লিয়ার না করলে কেরালা ১-০ এগিয়ে যেতেই পারত।
শেষমেশ ৩৮ মিনিটে কেরালার মেন ম্যান আলভারো ভাজকেজের এক লং বলই গোলের দরজা খোলে। ভাজকেজের পাস রিকির মাথায় লেগে একেবারে সাহাল আব্দুল সামাদের সামনে সুন্দরভাবে চলে আসে। বড় ম্যাচে চাপের মুখে জামশেদপুরের গোলরক্ষক টিপি রেহনেশের মাথার উপর দিয়ে সুন্দর চিপ শটে বল জালে জড়িয়ে দেন সাহাল। প্রথমার্ধে এগিয়ে সাজঘরে ফেরে কেরালা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে জামশেদপুর জালে বল জড়ালেও তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। তার তিন মিনিট পরেই কেরালার অ্যাড্রিয়ান লুনার ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে কিছুটা হাত ও কিছুটা বার পোস্টের সহায়তায় বাঁচান রেহনেশ।
ম্যাচের শেষের দিকে সাবস্টিটিউ স্পেশালিস্ট ইশান পন্ডিতাকে মাঠে নামান কয়েল। জামশেদপুরের হয়ে আবারও আরেকটু হলেই নিজের জাদু দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে গোল করে ফেলছিলেন ইশান। তবে ৮৮ মিনিটে তাঁর জোরালো শট গোলপোস্টের একটু বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যায়। ম্যাচ কেরালার পক্ষে ১-০ ব্যবধানেই শেষ হয়। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দ্বিতীয় লেগে পিছিয়ে থেকেই টাইয়ে ফেরার লড়াইয়ে নামবে জামশেদপুর। প্রসঙ্গত, এ মরশুমে সেমিফাইনালে অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম বাতিল হয়েছে। সুতরাং, জামশেদপুর দ্বিতীয় লেগ জিতলেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে যেতে পারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।