হাবাসের দেখানো পথেই দলের স্ট্র্যাটেজি সাজাবেন, দাবি প্রাক্তন কোচের সহকারীর

মঙ্গলবার খালিদ জামিলের নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে কি ঘুরে দাঁড়াবে এটিকে মোহনবাগান? এই নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এমনিতেই দলের বেহাল দশা ছিল। টানা চার ম্যাচে জয় পায়নি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বিদায় করা হয়েছে দলকে বহু সাফল্য এনে দেওয়া কোচ অন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে। দলের মধ্যে তীব্র ডামাডোল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নিজেদের সপ্তম ম্যাচ খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন ব্রিগেড কি আদৌ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?ছয় ম্যাচের মধ্যে এটিকে মোহনবাগান ২টি ম্যাচ জিতেছে, ২টি ড্র করেছে, ২টি ম্যাচ হেরেছে। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে ড্র করার পর আন্তোনিও লোপেজ হাবাস বিদায় নিয়েছেন। নতুন কোচ হয়ে এসেছেন আর এক স্প্যানিশ জুয়ান ফার্নান্দো। তবে নর্থ-ইস্ট ম্যাচে দলের দায়িত্বে রয়েছেন হাবাসের সহকারী ম্যানুয়েল কাসালানা। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রায় হাবাসের সুরেই কথা বললেন তাঁর স্প্যানিশ সহকারী।আপনি দীর্ঘ দিন আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর কিছু কৌশল কি এই ম্যাচে অনুসরণ করবেন?একশো শতাংশ। আন্তোনিও লোপেজ হাবাস আমার গুরু। তাই তাঁর কৌশলই অনুসরণ করার চেষ্টা করব। শৃঙ্খলাবদ্ধ দল, ভাল মানের প্রতি আক্রমণ, এ সবই থাকবে আমাদের খেলায়।আপনার কি মনে হয় বর্তমান পরিস্থিতি (হাবাসের বিদায়) দলের ওপর প্রভাব ফেলবে?কোচ যখন নেই, তখন খেলোয়াড়রাই সব। ওরা জিতলে ওদের কৃতিত্ব, ওরা হারলে ওদেরই দায়িত্ব। এই ম্যাচে হারলে কেউ কোচকে দোষ দিতে পারবে না। এখন খেলোয়াড়দেরই এগিয়ে আসতে হবে, বলতে হবে এটা আমাদের সময়, এখন আমাদেরই দায়িত্ব দলকে জেতানোর। আমার মনে হয়, এই প্রভাবটুকুই পড়বে।পরের ম্যাচে মাঠে নামার উদ্দেশ্য কী হবে?তিন পয়েন্ট জেতা। একমাত্র লক্ষ্য তিন পয়েন্ট জেতা।নর্থইস্ট ইউনাইটেড নিয়ে আপনার ধারনা কী?ওরা খুবই ভাল দল। সঙ্ঘবদ্ধ দল। ভাল বিদেশি ও ভারতীয় ফুটবলারের মিশ্রণ। একসঙ্গে অনেকে মিলে আক্রমণে ওঠে। একসঙ্গে পাঁচ-ছ’জন বক্সে ঢুকে পড়ে। সেই জন্যই ওরা বিপজ্জনক। ওদের বিরুদ্ধে যদি আগেই গোল দিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে আমাদের দল কিছুটা গুছিয়ে খেলতে পারবে। সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধা আমরা পাব। আমরা এই ব্যাপারে সিরিয়াস। আমাদের ভাল খেলতে হবে ও জয়ে ফিরতে হবে।দলের অপর সহকারী কোচ বাস্তব রায় মনে করেন, হাবাসের চলে যাওয়ার প্রভাব দলের ওপর সে ভাবে পড়বে না। কারণ, দলের ছেলেরা সবাই পেশাদার। তিনিও বলছেন, জয়ে ফেরাই এখন দলের একমাত্র লক্ষ্য। না হলে নক আউটে যাওয়া সমস্যা হবে।বর্তমান পরিস্থিতি যে রকম, তাতে আপনি প্লে-অফে পৌঁছনো নিয়ে কতটা আশাবাদী?আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। খেলোয়াড়রাও উদ্বুদ্ধ। ওদের উদ্বুদ্ধ করা আমাদেরই কাজ। আশা করি ওরা মাঠে ওদের সেরাটাই দেবে।নর্থইস্ট দল নিয়ে কী বলবেন?লিগ টেবলের অবস্থা আগে থেকে বলা বেশ কঠিন কাজ। একটা ম্যাচে জিতলেই লাফিয়ে উঠে যাওয়া যায়। গত ম্যাচে নর্থইস্ট এসসি ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়। আমরা কোনও দলকেই খাটো করে দেখি না। আমরা মাঠে প্রমাণ করি যে, আমরাই সেরা, কাগজে-কলমে সেরা নই। ম্যাচটা ভাল হবে। দুই দলই কাল জিততে চাইবে। লড়াই হবে এই ম্যাচে।কোন কোন জায়গায় এটিকে মোহনবাগানকে আরও উন্নতি করতে হবে?আমরা দল হিসেবে ভাল খেলি, গোলও করি। কিন্তু গোল খেয়েও যাচ্ছি। এটা বন্ধ করতে হবে।পরের ম্যাচে আপনাদের লক্ষ্য কী?মাঠে নেমে জেতা। এ ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। না জিততে পারলে নক আউট পর্বে পৌঁছনো যাবে না। তাই এই ম্যাচটা আমাদের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।রক্ষণের দুর্বলতা নিয়ে বলছিলেন। কোনও ডিফেন্ডারকে আনার পরিকল্পনা কি আছে আপনাদের?পরিকল্পনা কী, তা বলতে পারব না। আমাদের গোল খাওয়া তো বন্ধ করতেই হবে। তবে দল হিসেবেও নিজেদের আরও উন্নত করে তুলতে হবে। দল হিসেবে না খেললে ভাল ফল পাওয়া যাবে না।বর্তমান পরিস্থিতি (হাবাসের বিদায়) কি দলের ওপর প্রভাব ফেলবে?আমার মনে হয় না। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ই পেশাদার। ওরা নিজেদের সেরাটাই দেবে বলে আমার মনে হয়। আমি দলের ছেলেদের নিয়ে আশাবাদী, ওদের ওপর আস্থা রয়েছে আমার। আশা করি, ওরা কাল জিতেই মাঠ ছাড়বে। ড়বে।