ভারতীয় ক্রিকেট জগতে নেমে এলো শোকের ছায়া। না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রাক্তন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার হেমু ডালভি। বার্ধক্য জনিত কারণে দহিসারে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হিমু ছিলেন একজন বোলার। মুম্বইতেই বেশিরভাগ খেলেছেন। মাঝে মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন চারটি ম্যাচে। নিয়েছেন চারটি উইকেট। করেছেন ১১৬ রান। সর্বোচ্চ রান করেছেন ৩৩। নিজের কেরিয়ারে থেকে বেশি সাফল্য পেয়েছেন কোচিংয়ে। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য বলবিন্দর সিং সান্ধুর ছোটবেলার কোচ ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রায় ৪০ জন রঞ্জি ক্রিকেটারকে নিজের হাতে তৈরি করেছেন তিনি। কিরণ মোকাশি, রবি ঠক্কর , অরবিন্দ ধুরি, প্রমোদ সাটাম, মনোজ গাট্টি, উদয় কেলুসকর এবং রাজু শিরকে সহ আরও অনেক ক্রিকেটারকে নিজের হাতে তৈরি করেছেন।
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ঘাটকোপারের ঝুনঝুনওয়ালা কলেজের প্রধান কোচ হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২১ সালে মামব্রে ক্রিকেটার্স ফাউন্ডেশন ডালভিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করে। তাঁর মৃত্যু সংবাদে গভীর ভাবে ভেঙে পড়েন সুনীল গাভাসকর। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের প্রিয় খেলার আর একজন মহান সেবক চলে গেলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
বলবিন্দর সিং সান্ধু বলেছেন, ‘হেমু স্যার একজন অসাধারণ ভালো কোচ। তিনি এবং রমাকান্ত আচরেকর স্যার একে অপরের প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আমি আমার বোলিং সম্পর্কে তাঁর সাথে পরামর্শ করতাম। তিনি সবসময় আমাকে সাহায্য করতেন। আমি কোনও সময় ভেঙে পড়লেও তিনি সব সময় ইতিবাচক কথা বলতেন। যাতে আমি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। আমি তাঁর কাছে স্পিন বোলিং শিখেছি। আমি যখন আমার কলেজের হয়ে খেলতাম, আমি তাঁকে বলও করতে দেখেছি। এখন খুব খারাপ লাগছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।