ভারতের একটি দল বিরাট কোহলির নেতৃত্বে যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন শ্রীলঙ্কায় শিখর ধাওয়ানের টিম সংক্ষিপ্ত ওভারের সিরিজ খেলছে। তবে সাদা বল ক্রিকেটের জন্য আলাদা দল এবং লাল বল ক্রিকেটের জন্য আলাদা দলের যে ধারণাটা রয়েছে, তাতে একেবারেই বিশ্বাসী নন প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার দিলীপ বেঙ্গসরকার। বরং তিনি মনে করেন, জাতীয় দলের জার্সি পরলেই, সবাইকে সব ধরনের ফর্ম্যাটে খেলতে হবে। তবে দু'টো আলাদা দল তৈরি করা এবং বিকল্প বাড়িয়ে রাখার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন দিলীপ বেঙ্গসরকার।
যখন বেঙ্গসরকার জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন ১৯৮৮ সালে সচিন তেন্ডুলকরকে দলে নিয়েছিলেন তিনি। তার পর তো সবটাই ইতিহাস। আবার ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অধিনায়ক করার বিষয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। বাকি ঘটনা তো সকলেরই জানা। দিলীপ বেঙ্গসরকার বলেছেন, ‘আমি চাই সকলেই পারফর্ম করুক। ক্রিকেট পুরোটাই সুযোগ পাওয়ার উপর নির্ভর করে এবং যারা সুযোগ পাচ্ছে, তাদের সেটা কাজে লাগানো উচিত। কেবল শিখরই নয়, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, পৃথ্বি শ' এবং বাকি যাদের দলে নেওয়া হয়েছে ,তাদের কিন্তু লড়াই করতে হবে। শুধুমাত্র ওপেনার শ্লট খালি রয়েছে, তার জন্য নয়, দলের প্রতিটা পজিশনের জন্যই কিন্তু বড় প্রতিযোগীতা হতে চলেছে। বিকল্প থাকা সব সময়েই ভাল এবং কেউ যদি ভাল খেলে, আমি নিশ্চিত, সে তার প্রাপ্য পাবে।’
বেঙ্গসরকার আরও বলেছেন, ‘আমি এই লাল বল এবং সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা দলের ধারণায় বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি না যে, কেউ লাল বলের ক্রিকেটে ভাল এবং সাদা-বলের ক্রিকেটের জন্য খারাপ। কেউ যখন ভারতের হয়ে খেলতে আসে, তখন সব প্লেয়ারকেই তিনটি ফর্ম্যাটেই খেলতে হবে এবং এটাই হওয়া উচিত। কেউই এ কথা বলতে পারে না, আমি শুধু মাত্র একটি ফর্ম্যাটেই ভাল খেলি এবং সেই ফর্ম্যাটেই খেলব। আর আমি মনে করি, টেস্ট ক্রিকেটই কিন্তু আসল। অবশ্যই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সমান গুরুত্ব রয়েছে। তবে টেস্ট ক্রিকেট যে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, তার গুরুত্বটা আইসিসি বা বিসিসিআইকেই বোঝাতে হবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।