২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। শিরোপা জয়ের কাছে এসেও তরী ডুবেছে কিউয়িদের। আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। আর ২০২২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে ছিটকে গেল তারা। এ দিকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান গুড়িয়ে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার রেকর্ড। গড়ে ফেলেছে নতুন নজির।
একটি নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে সর্বাধিক ম্যাচ জেতার বিশ্বরেকর্ড করলেন বাবর আজমরা। বুধবার নিউজিল্যান্ডকে ১৮তম বারের মতো টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে হারাল পাকিস্তান। যা কোনও একটি নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে অন্য একটি নির্দিষ্ট দলের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড।
এর আগে ভারত মোট ১৭ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল। সেই রেকর্ডই এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ভেঙে দিল পাকিস্তান। সেই সঙ্গে তারা ফাইনালেও পৌঁছে গেল। এ ছাড়াও ভারত ১৭ বার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। এই তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রিটিশরাও ১৭ বার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে।
পাকিস্তান এর আগে ২০০৯ সালে ইউনিস খানের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।১৩ বছর ফের তাদের সামনে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। প্রসঙ্গত, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালটি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলা হবে, যেখানে পাকিস্তান ইমরান খানের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল। এবং চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। তাও আবার ৩০ বছর আগে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকেই হারিয়েছিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: এই হার হজম করা কঠিন-বোলারদের দুষলেন হতাশ কিউয়ি অধিনায়ক
বুধবার টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথমে কিউয়িরা ব্যাট করতে নামলে শাহিন আফ্রিদি বড় ঝটকা দেন। শাহিনের বলে মাত্র ৪ রান (৩ বলে) করে ক্রিজে ফেরেন ফিন অ্যালেন। এর পর শাদাব খান দুরন্ত রানআউট করেন ডেভন কনওয়েকে। ২০ বলে ২১ করে তিনিও সাজঘরে ফেরেন। তবে দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৪২ বলে ৪৬ করেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টির প্রেক্ষিতে খুবই স্লো ব্যাটিং করেছেন উইলিয়ামসন। যে কারণে সে ভাবে স্কোরবোর্ডে রান যোগ হয়নি। এ দিন ব্যর্থ হন গ্লেন ফিলিপসও (৮ বলে ৬ রান)। তবে ড্যারিল মিচেলের ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রান নিউজিল্যান্ডকে দেড়শো পার করতে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫২ রান করে কিউয়ি ব্রিগেড। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ২ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ১০৫ রান করে ফেলে। বাবর আজম ৪২ বলে ৫৩ রান করেন। ৪৩ বলে ৫৭ রান করেন মহম্মদ রিজওয়ান। ওপেনিং জুটিই পাকিস্তানের জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়। তিনে নেমে মহম্মদ হ্যারিস ২৬ বলে ৩০ রান করেন। ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে ফেলে পাকিস্তান। ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে তারা ম্যাচ জিতে নেয় তারা। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ২ উইকেট নিয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।