টুইটারে আইসিসির মামুলি ভোট ছিল। আর সেই বিরাট কোহলি বনাম ইমরান খানের ভোট লড়াই কার্যত ভারত-পাকিস্তানের ‘যুদ্ধ’ হয়ে দাঁড়াল। এমনকী একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আইসিসির সেই ভোটের লড়াইয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে জেতাতে জোরদার প্রচারও চালানো হল। শেষপর্যন্ত বিরাটকে হারিয়ে সেই ভোটে জয়ী হলেন ইমরান।
অধিনায়ক হওয়ার পর কোন খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স আরও ভালো হয়েছে, তা নিয়ে মঙ্গলবার একটি ভোটাভুটি শুরু করেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। তালিকায় ছিলেন - এবি ডি'ভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলি এবং মেগ ল্যানিং। তাতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় বিরাট এবং ইমরানের।
আর যত সেই লড়াই এগিয়েছে, তাতে ভারত ও পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা ঢুকে পড়েছে। পাকিস্তানের একাধিক রাজনীতিবিদ, সরকারের মুখপাত্র, মন্ত্রীরাও তাতে সামিল হয়ে গিয়েছিলেন। ভোট-পর্বের মাঝেই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই ভোটাভুটির সাম্প্রতিক ফলাফল তুলে ধরা হচ্ছিল। স্পষ্ট ছিল, ইমরানকে জেতাতে মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। কম যাচ্ছিলেন না ভারতীয়রাও। যেনতেনভাবে কোহলিকে জেতাতে মরিয়া ছিলেন তাঁরাও।
শেষপর্যন্ত অবশ্য অল্পের জন্য দ্বিতীয় হন বিরাট। ৫৩৬,৩৪৬ ভোটের মধ্যে বিরাট পান ৪৬.২ শতাংশ। সেখানে ইমরানের ঝুলিতে যায় ৪৭.৩ শতাংশ। ডি'ভিলিয়ার্স মাত্র ছ'শতাংশ ভোট পান এবং মেগ ল্যানিং পান ০.৫ শতাংশ ভোট। আর সেই জয়ের পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন পাকিস্তানের টুইটার ব্যবহারকারীরা। রীতিমতো ‘যুদ্ধ’ জয়ের মতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাও তাতে যোগ দেন। ইমরান যে ‘সেরা’, তার স্বপক্ষে টুইট করেন।
সেইসবের মধ্যে শাসক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘ভারতকে চমকে দিয়েছে পাকিস্তান। চিরকালীন নেতা ইমরান খান।’ বিভিন্ন ইমরান-পন্থীও টুইট রিটুইট করা হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।