শুভব্রত মুখার্জি
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বরাবর ব্যাটসম্যানদের প্রতি একটু হলেও বেশি সদয়। পাটা উইকেট, ছোটো বাউন্ডারি - সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটটা একটু হলেও বোলারদের প্রতি 'পক্ষপাতদুষ্ট' আচরণ করে থাকে। একটা সময় ছিল যখন একদিনের ম্যাচে ৫০ ওভারে ২০০ রান করার পরেও বিপক্ষকে তার থেকে কম রানে বেঁধে রেখে ম্যাচ জিতেছে কোনও টিম।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। সনথ জয়সূর্য, রমেশ কালুভিথারানার মতো ওপেনাররা রঙিন জার্সির ক্রিকেটের সংজ্ঞাটাই বদলে দেন। তারপর বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, অ্যাডাম গিলক্রিস্টদের হাত ধরে ক্রিকেট ব্যাটিং নবজাগরণের সাক্ষী থাকে ক্রিকেট বিশ্ব। টি-টোয়েন্টি আসার পরে এখন ২০ ওভারে ২০০ রান করার পরেও জেতার ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা থাকছে না।
আমেদাবাদে ভারত যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল, ইয়ন মর্গ্যান দের একটা বিরাট টার্গেট দিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়াই ছিল প্রাথমিক লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ভারতীয়রা। যেই ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসেছেন তিনিই চালিয়ে খেলেছেন প্রথম বল থেকে। ফলস্বরূপ চার ভারতীয় ব্যাটসম্যান ১৫০+ স্ট্রাইক রেটে খেলে ভারতের রান পৌঁছে দিয়েছিল ২২৪-তে। বিরাটদের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের সামনে পড়ে অসহায় লেগেছে ইংল্যান্ডের বোলারদের। ফলস্বরূপ মার্ক উড এবং ক্রিস জর্ডন এই দুই বোলার গড়ে ফেলেছেন এক লজ্জার নজির - বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয়বার এক ইনিংসে দু'জন বোলার ৫০+ রান দিলেন বিনা উইকেট সংগ্রহ করার। একনজরে দেখে নিন সেই পরিসংখ্যান :-
১) ২০০৭ সালে প্রথমবার শ্রীলঙ্কা বনাম কেনিয়া ম্যাচে ঘটেছিস এই ঘটনা। কেনিয়ার দুই বোলারের বোলিং পরিসংখ্যান ছিল -
* পিটার অনগন্ডে চার ওভারে বিনা উইকেটে ৫৩ রান।
* ল্যামেক অনিয়াঙ্গো চার ওভারে বিনা উইকেটে ৬৩ রান।
২) ২০২১ আমেদাবাদে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে দ্বিতীয় বার ঘটল এমন ঘটনা।
* মার্ক উড চার ওভারে বিনা উইকেটে ৫৩ রান।
* ক্রিস জর্ডন চার ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।