দেওয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ালেন বলা যায়। কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দলের প্রয়োজনের সময় অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করে ঋদ্ধিমান সাহা নিজের টেস্ট কেরিয়ারে অক্সিজেন জোগালেন বলা মোটেও ভুল হবে না।
মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসরের পর থেকে ঋদ্ধিই ছিলেন টেস্টে ভারতের এক নম্বর উইকেটকিপার। তবে ঋষভ পন্তের উত্থানে ক্রমশ রিজার্ভ উইকেটকিপারে পরিণত হতে হয় বাংলার অভিজ্ঞ তারকাকে। নিয়মিত সুযোগ পান না। তাই হঠাৎ করে মাঠে নেমে নিজেকে মেলে ধরা কঠিন। ঋদ্ধির উইকেটকিপিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। তবে ব্যাটিংয়ের জন্যই সাহাকে ক্রমশ পিছনের সারিতে চলে যেতে হচ্ছিল।
এই অবস্থায় পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে কেএস ভরত প্রথম সুযোগেই উইকেটকিপিংয়ে নজর কাড়ায় চাপ বাড়ে ঋদ্ধির উপর। টেস্ট দলে জায়গা টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যাট হাতে বড় রান করা জরুরি হয়ে পড়েছিল ঋদ্ধিমানের। শেষমেশ কানপুরেই দলের দরকারের সময় হাফ-সেঞ্চুরি করে সমালোচকদের মোক্ষম জবাব দেন ঋদ্ধিমান।
গ্রিন পার্কের প্রথম ইনিংসে ১২ বলে ১ রান করে আউট হয়েছিলেন ঋদ্ধি। পরে ঘাড়ে চোট পাওয়ায় তৃতীয় দিনে ফিল্ডিং করতে নামেননি তিনি। তাঁর পরিবর্তে উইকেটকিপিং করেন কেএস ভরত। তবে চতুর্থ দিনে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ঋদ্ধিমান। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। শেষমেশ ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২৬ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
টেস্ট কেরিয়ারে এটি ঋদ্ধির ৬ নম্বর হাফ-সেঞ্চুরি। শেষবার তিনি ৫০ রানের গণ্ডি টপকেছিলেন ২০১৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। তার পর থেকে ১৪টি ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করতে পারেননি ঋদ্ধি। টেস্টে ঋদ্ধিমান ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। শেষবার তিনি তিন অঙ্কের রানে পৌঁছেছিলেন ২০১৭ সালে রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।