টিম পেইনের আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রাক্তন আম্পায়ার সাইমন টাফেল অবশ্য জানিয়েছেন, আইসিসির নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার। তাতে অবশ্য বিতর্ক থামছে না। বরং যত সময় যাচ্ছে, তত পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটা শুরু হয়েছে। একাংশের বক্তব্য, একই কায়দায় অস্ট্রেলিয়া সফরের তৃতীয় একদিনের ম্যাচেই বিরাট কোহলিকে আউট দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার মেলবোর্নে ৪৭.৪ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার বল অফসাইডের কাছে স্পিন হয়। সঙ্গে লাফিয়ে ওঠে। সেই বলে কাট মারতে যান পেইন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বরং উইকেটের পিছনে ঋষভ পন্তের হাতে জমা পড়ে বল। জোরালো আবেদন করেন ভারতীয়রা। কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন অজিঙ্কা রাহানে।
রিভিউয়ে হটস্পটে কিছু ধরা পড়েনি। কিন্তু স্নিকোতে (আরটিএস) হালকা ওঠানামা ধরা পড়ে। তাতে আউট দিতে বলেন তৃতীয় আম্পায়ার। সেইমতো নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হন অনফিল্ড আম্পায়ার। সেই সিদ্ধান্তে দৃশ্যতই অখুশি দেখায় পেইনকে। কিন্তু তাঁকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়। তাঁর মতোই অখুশি হন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ। ধারাভাষ্যকার তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নের বক্তব্য, অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পালটে দেওয়ার মতো একেবারে অকাট্য কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাহলে কোন যুক্তিতে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন তৃতীয় আম্পায়ার?
যদিও পালটা দাবি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলের একাংশ। এবারের অজি সফরের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে বিরাটের আউটের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সেই ম্যাচে তো একইভাবে কট-বিহাইন্ড আবেদনে অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখানে হটস্পটে কিছু ধরা পড়েনি। কিন্তু আরটিএস ওঠানামা ধরা পড়ায় আউট দিয়েছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার। তখনও আউট দেওয়া হয়েছিল। আর আরটিসের ওঠানামা অকাট্য হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। আইসিসির নিয়মেই তা বলা হয়েছে।
আইসিসির নিয়মে কী বলা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা দেন প্রাক্তন আম্পায়ার টাফেল। যিনি টানা পাঁচবার বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পেয়েছিলেন। চ্যানেল ৭-এ ডিআরএসের সময় কীভাবে আম্পায়াররা অকাট্য সিদ্ধান্তে উপনীত হন, সে প্রসঙ্গে টাফেল জানান, প্রথম বলের দিক পরিবর্তন হয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি দেখা হয়। সেখানে অকাট্য প্রমাণ না মিললে হটস্পট দেখা হয়। সেখানেও অকাট্য প্রমাণ না পেলে স্নিকো (আরটিএস) খতিয়ে দেখেন আম্পায়ার। ব্যাটের পাশ দিয়ে যখন যাওয়ার সময় যদি স্নিকোতে ওঠানামা ধরা পড়ে, তাহলে তা অকাট্য প্রমাণ দেখা হয়। অন্যদিকে, ব্যাটে বল লাগার একটা ফ্রেম পরের বিষয়টি নিয়ে টাফেল জানান, প্রতিদিন ম্যাচ শুরুর আগে শব্দ ও ছবির বিষয়টি খতিয়ে দেখেন টেকনিশিয়ানরা। কিন্তু শব্দ এবং আলোর গতিবেগে ফারাক থাকায় কিছুটা সময়ের পার্থক্য মাঝেমধ্যে থেকে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।