ভরসা করে গুরুত্বপূর্ণ ১৮তম ওভারে ক্রিস জর্ডনের হাত বল তুলে দিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক রবীন্দ্র জাদেজা। তখন ১৮ বলে গুজরাট টাইটানসের প্রয়োজন ৪৮ রান। ১৭ ওভার শেষে টাইটানসের রান ছিল ৫ উইকেটে ১২২। ক্রিজে তখন ডেভিড মিলার এবং রশিদ খান।
জর্ডন ১৮তম ওভারে বল করতে এলে প্রথমেই তাঁক ছক্কা হাঁকান রশিদ। এর পর ৬-৪-৬-১-২- ওই ওভার থেকে রান সংগ্রহ করে টাইটানস। হয় মোট ২৫ রান। আর এই ওভারটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। গুজরাট টাইটানস এক লাফে ১২২ থেকে ১৮ ওভার শেষে করে ফেলে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান। জয়ের লক্ষ্যের কাছেই কার্যত পৌঁছে যায় তারা।
তবে ১৯তম ওভারে ডোয়েন ব্র্যাভো বল করতে এলে তিনি পরিস্থিতি কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করেন। এই ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন ব্র্যাভো। তিনি ফেরান রশিদ খান (২১ বলে ৪০ রান) এবং আলজারি জোসেফকে (১ বলে ০ রান)।
শেষ ওভারে টাইটানসের দরকার ছিল ১৩ রান। ফের জর্ডনকেই বল দেন জাদেজা। কিন্তু চেন্নাইকে ডোবালেন সেই তারকা ব্রিটিশ বোলারই। একটি ছয়, একটি চার, নো-বল এবং ২ রান দিয়ে টাইটানসকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি। ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে যান রশিদ খানরা।
এর সঙ্গেই লজ্জার নজিরও গড়ে ফেলেন জর্জন। আইপিএলের ১ ইনিংসে ৪ ওভার পুরো বল না করেও, সর্বাধিক রান দেওয়ার লজ্জার নজির গড়েন তিনি। জর্ডন ৩.৫ ওভার বল করে ৫৮ রান দিয়েছেন। কোনও উইকেট তিনি পাননি। সিএসকে-র হয়ে এই লজ্জার নজির গড়েন জর্ডন। এর আগে ২০১৮ সালে সিএসকে-র বিরুদ্ধে কোরি অ্যান্ডারসন ৩.৪ ওভার বল করে কোনও উইকেট না নিয়ে ৫৮ রান দিয়েছিলেন। সেই লজ্জার নজির রবিবার স্পর্শ করলেন ক্রিস জর্ডন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।