আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। সেই ম্যাচে চেন্নাই নাস্তানাবুদ হলেও ৫০ বলে ৯২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ১৮৪ স্ট্রাইক রেটে ঝড় তুলেছিলেন রুতু। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ৯টি ছক্কা।
সোমবার চেন্নাই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠ চিপকে মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। এই ম্যাচেও ওপেন করতে নেমে দুরন্ত ছন্দে ৩১ বলে ৫৭ রান করেন রুতুরাজ। সেই সঙ্গে চেন্নাইয়ের ভিত তিনি মজবুত করে দেন। ডেভন কনওয়েকে নিয়ে প্রথম উইকেটে ১১০ রান যোগ করেন।
আরও পড়ুন: ধোনির পরপর জোড়া ছক্কা দেখে প্রায় কেঁদে ফেলার দশা হয় গম্ভীরের, ভাইরাল গোতির মিম
এ বার আইপিএলে রুতুরাজ এখনও পর্যন্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় একে রয়েছেন রুতুরাজ। দুরন্ত থাকা ব্যাটার এ দিকে সোমবার ম্যাচের পর বলে দিয়েছেন, তাঁর অনুপ্রেরণা একেবারেই মহেন্দ্র সিং ধোনি নন। বরং সুরেশ রায়না।
লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১২ রানে হারানোর পর, ম্যাচ পরবর্তী একটি অনুষ্ঠানে সুরেশ রায়নার সামনেই বলে দেন, তিনি তাঁর অনুপ্রেরণা। যে ভাবে সিএসকে-র জার্সিতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স রায়না করে গিয়েছেন, একই ভাবে রুতুরাজও সেই রকমই পারফরম্যান্স করে যেতে চান।
আরও পড়ুন: প্রথম ১০ বলে করলেন ৫ রান, শেষ ৫ বলে শিবমের সংগ্রহ ৬-৪-৬-৬, হাঁকালেন ১০২ মিটারের ছয়ও
রুতুরাজ দাবি করেন, ‘আমি জানি না, রায়না ভাই জানে কিনা, কিন্তু ও-ই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। রায়না ভাই টানা সিএসকে-র হয়ে খেলেছে। এবং চেন্নাইয়ের হয়ে যে ভাবে আনুগত্য দেখিয়েছে, প্রথম ম্যাচ থেকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ও ধারাবাহিক ভাবে খেলে গিয়েছে। কখনও এমনটা হয়নি একটি মরশুম ভালো খেলল, তো অন্য মরশুম খারাপ খেলল। যবে থেকে খেলেছে, ওর শেষ দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করে গিয়েছে। চেন্নাই টিমের জার্সিতে নামলেই মনে হয়, রায়না ভাইয়ের মতোই হব। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলব। যেমন রায়না ভাই এত বছর করে এসেছে।’
প্রায় বছর চারেক পর আইপিএল টুর্নামেন্ট আবারও হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে ফিরে এসেছে। তবে এই প্রথম বার চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে সুরেশ রায়নাকে ছাড়া খেলতে নেমেছিল হলুদ ব্রিগেড। তবে রায়না স্টেডিয়ামেই উপস্থিত ছিলেন। ধারাভাষ্যকর হিসেবে। ম্যাচ শেষে রায়নার গুরুত্ব টের পাইয়ে দিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রসঙ্গত, আইপিএলে অনবদ্য ধারাবাহিকতার জন্য রায়নার নাম হয়ে যায় ‘মিস্টার আইপিএল’। রায়নার করা ৫৩৬৯ রানই সিএসকের হয়ে আইপিএল ইতিহাসে নজির।
ব্যাটার তো বটেই, ফিল্ডার হিসেবেও রায়নার কৃতিত্বও কিন্তু কম কিছু নয়। আইপিএল ইতিহাসে ১০৯টি ক্যাচ রয়েছে তাঁর। ২০১৪ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ারে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে রায়না ৮৭ রান করেছিলেন। আইপিএলের পাওয়ার প্লেতে এটাই কোনও ব্যাটারের করা সর্বকালের সর্বোচ্চ রান। আইপিএলে সিএসকের হয়ে টানা ১৫৮টি ম্যাচ খেলেছেন সুরেশ রায়না। এ বার সেই সুরেশ রায়নার ছায়াই অনুসরণ করতে চান রুতুরাজ।