স্পনসরদের সঙ্গে ঝামেলা তখন চূড়ান্ত পর্যয়ে। ক্লাবের হাতে স্পোর্টিং রাইটও ছিল না। আই লিগ না আইএসএল, কোন লিগে দেখা যাবে, সে সম্পর্কে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। লকডাউনের এমন সমস্যা জর্জরিত দিনগুলিতেই দলবদলের বাজারে ঝড় তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল।
মহামারি পরবর্তী সময়ে ফের কবে ফুটবল খেলা শুরু হবে ভারতে, তা নিয়েই যখন নিশ্চয়তা ছিল না, ঠিক তখনই একের পর এক ভারতীয় তারকাদের সঙ্গে চুক্তি পাকা করে লাল-হলুদ শিবির।
পরে ছবিটা বদলে যায়। পুরনো স্পনসরদের থেকে ইস্টবেঙ্গল ফিরে পেয়েছে মালিকানা। নতুন স্পনসর এসেছে ক্লাবে। আইএসএলে মাথা গলানোও নিশ্চিত করেছে শতবর্ষের ঐতিহ্যশালী ক্লাব।
প্রাথমিকভাবে আই লিগকে সামনে রেখেই সম্ভবত ঘুঁটি সাজাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষমেশ আইপিএলের দরজা খুলে যাওয়ায় নতুন করে দল সাজাতে হয়েছে তাদের। এমন অবস্থায় চুক্তিবদ্ধ বেশ কিছু ফুটবলারকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। শেষমেশ যাঁদের আর আইএসএল মরশুমের জন্য নথিভুক্তই করায়নি তারা।
ইতিমধ্যে আইএলএলের জন্য বিদেশি কোচ ও বিদেশি ফুটবলার দলে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ঘোষণা করেছে ২২ জন ভারতীয় ফুটবলারের স্কোয়াডও। তবে চুক্তিবদ্ধ যে ১৫ জন ফুটবলারকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য নথিভুক্তই করায়নি লাল-হলুদ শিবির, দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
চুক্তির পরেও আইএসএলের জন্য ইস্টবেঙ্গল নথিভুক্ত করায়নি ওমিদ সিং, জেমি স্যান্টোস কোলাদো, মিলন সিং, গিরিক খোসলা, বিকাশ সাইনি, প্রকাশ সরকার, মনোজ মহম্মদ, ব্র্যান্ডন ভানলালরেমডিকা, সিকে বিনীত, রিনো অ্যান্টো, নবীন গুরুং, কেভিন লোবো, কীগান পেরেরা, লালরিনডিকা রালতে ও বোথাং হাওকিপকে।
আইএসএলের জন্য ঘোষিত ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ফুটবলারদের স্কোয়াড:-
গোলকিপার: দেবজিৎ মদুমদার, শঙ্কর রায়, রফিক আলি সর্দার ও মির্শাদ মিচু।
ডিফেন্ডার: অভিষেক আম্বেকর, সামাদ আলি মল্লিক, গুরতেজ সিং, নারায়ণ দাস, লালরামচুলোভা, মহম্মদ ইরশাদ, রোহেন সিং ও রানা ঘরামি।
মিডফিল্ডার: শেহনাজ সিং, বিকাশ জাইরু, ইউজেনসন লিংডো, ইয়ুমনাম গোপী, ওয়াহেংবাম আঙসুয়ানা, সুরচন্দ্র সিং, মহম্মদ রফিক ও লোকেন মেইতেই।
ফরোয়ার্ড: জেজে লালপেখলুয়া ও বলবন্ত সিং।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।