করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও প্রথম একাদশে ম্যাট রেনশ!

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন অসুস্থতা বোধ করায় ম্যাচের আগেই রেনশকে দলের বাকিদের থেকে আলাদা করে আইসোলেট করা হয়। এরপর পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি করোনা পজিটিভ। তবে করোনা আক্রান্ত হলেও প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছেন রেনশ। ‘এমারজেন্সি ফিল্ডার’ হিসেবে রাখা হয়েছে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে।

প্রথম একাদশে করোনায় আক্রান্ত ম্যাট রেনশ (ছবি-এপি)

শুভব্রত মুখার্জি: সারা বিশ্ব জুড়ে ফের উঠতির দিকে করোনাগ্রাফ। বিভিন্ন দেশে ফের দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে করোনা। খেলার মাঠেও এসে পড়েছে তার প্রভাব। প্রায় পাঁচ বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার ম্যাট রেনশ। আর ফেরার পরেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে জায়গা হয়েছে তাঁর।

তবে প্রোটোকল মেনে দলের বাকিদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পাচ্ছেন না ম্যাট রেনশ। এদিন ম্যাচ শুরুর আগে যখন দলের সকলেই যখন একে অপরের কাঁধে হাত রেখে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তখনও দূরত্ব বজায় রাখতে হল তাঁকে। বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে গলা মেলালেন তিনি। বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেই ঘটেছে এমন ঘটনা। বলা যায় এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটার রেনশ। ২৬ বছর বয়সি এই অস্ট্রেলিয়ান শেষবার জাতীয় দলের হয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে খেলেছিলেন। সে বারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে খেলেছিলেন তিনি।

প্রায় পাঁচ বছর পর খেলার সুযোগ পেলেও সিডনিতে খেলা শুরুর আগেই করোনায় আক্রান্ত হন রেনশ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন অসুস্থতা বোধ করায় ম্যাচের আগেই রেনশকে দলের বাকিদের থেকে আলাদা করে আইসোলেট করা হয়। এরপর পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি করোনা পজিটিভ। তবে করোনা আক্রান্ত হলেও প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছেন রেনশ। অস্ট্রেলিয়া রেনশর বিকল্প ফিল্ডারকেও প্রস্তুত রেখেছে। ‘এমারজেন্সি ফিল্ডার’ হিসেবে রাখা হয়েছে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে।