ভ্যাকসিন নিয়েছেন কি না জানাবেন না, প্রয়োজনে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকেও সরে যেতে পারেন জকোভিচ

ভিক্টোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী যে কোন অ্যাথলিট ভ্যাকসিন নিয়েছেন কি না, তা জানানো আবশ্যক।

নোভাক জকোভিচ। ছবি- রয়টার্স।

করোনা পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় যে কোন ক্ষেত্রে কঠিন নিয়মবিধি লাগু করা হয়েছে। এর জেরে বছরের শেষে অ্যাসেজে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ করা নিয়েও তৈরি হয়েছে জোট। প্রায় একই কারণে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচও পরের বছরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।

ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালে ভিক্টোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী প্রফেসনাল অ্যাথলিটদের করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও বাইরে থেকে আগত ক্রীড়াবিদদের জন্য কী নিয়মনীতি রয়েছে তা সুস্পষ্ট করা হয়নি। তবে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই যে সবটা করতে হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু জকোভিচ কোনভাবেই নিজের ভ্যাকসিন স্ট্যাটাস জানাতে রাজি নন। তাঁর মতে এর ফলে অত্যাধিক ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।

Blic নামক এক সার্বিয়ান দৈনিককে সাক্ষাৎকারে জকোভিচ জানান, ‘বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে আমি মেলবোর্নে খেলব কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই। আমি ভ্য়াকসিন নিয়েছি কি না, তা কোনভাবেই জানাব না। এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এই বিষয়ে প্রশ্ন করাটা করুচিকর। আজকাল লোকজন এইসব বিষয়ে প্রশ্ন করে অন্যদের বিচার করে একটু বেশিই করে দূর চলে যায়। আমি হ্যাঁ বা না যাই বলি না কেন, ওর এর ফায়দা ওঠাবে বলেই আমার মনে হয়।’

৩৪ বছর বয়সী সার্বিয়ান তারকা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে পৌঁছালেও সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার রেকর্ড হাতছাড়া করেন। তবে এ বছরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনসহ তিনটি স্ল্যাম জেতেন ‘জোকার’। এই পরিস্থিতি ব্যতীত নিজের সবচেয়ে পছন্দের স্ল্যামে খেলতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি। এবার পুরো বিষয়টাই পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল।